দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগী। এই নিয়ে কয়েকদিন দেশের মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম হয়ে ওঠে। আবার থানায় গিয়ে হাজির হলেন তিনি। তার এই নিখোঁজের রহস্য কী?
তার বড় ছেলে সামন্ত হাসান এশা জানিয়েছেন, ৭ আগস্ট আনুমানিক সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আমাকে কলেজে নামিয়ে আসার পর বাসায় গাড়িটি পার্ক করে দারোয়ানের কাছে চাবি দিয়ে বাবা বেরিয়ে যান। বাবা যাওয়ার সময় দারোয়ানকে বলেন, ‘তোমার খালাম্মাকে চাবিটা দিয়ে দিও’।
তার পর হতে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এরপর দেশের মিডিয়াগুলোতে এই নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। হঠাৎ তিনি কলাবাগান থানায় হাজির হয়ে বললেন তিনি নিজে থেকেই পারিবারিক কারণে আত্মগোপনে ছিলেন।
জানা গেল, পারিবারিক কলহ ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া হাসানের সঙ্গে রাগারাগি করে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই অভিনেতা। এরপরেই আজ কলাবাগান থানায় এসে জানালেন তিনি তৃতীয় স্ত্রীর কাছে ছিলেন এতোদিন।
আজ সোমবার পুলিশের কাছে বৈরাগী স্বীকার করেছেন যে তিনি আত্মগোপনে যাননি। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী রাজিয়া হাসানের সঙ্গে রাগারাগির জের ধরে ঘর ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় ওঠেন।
বৈরাগী জানিয়েছেন, ২০ বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলেও তারা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেননি। তাদের ঘরে এক সন্তানও রয়েছে। ৪১ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তিনি নিজেই এসে কলাবাগান থানায় হাজির হন। পরে পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেয়।
তবে সমালোচকরা তার এই নিখোঁজকে সাধারণ বক্তব্য হিসেবে দেখছে না। তিনি যদি সত্যিই এভাবে সরে থাকেন তাহলে ফোন করেও তো তথ্য দিতে পারতেন। তা তিনি কেনো করেন নি? মোবাইলে তথ্য দিলেই তো এতো ঝামেলা হয় না। নাকি তার আত্মগোপনের পিছনে অন্য কোনো কাহিনী রয়েছে? এ প্রশ্ন এখন সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে পুলিশ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর এই রাজিয়া হাসানকে বিয়ে করেন ফখরুল হোসেন বৈরাগী। এই ঘরে তার দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে রয়েছে এক সন্তান।