দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্বার মহাসেন আপাতত শান্ত হয়ে চলে গেছে বাংলাদেশ উপকূল থেকে। কিন্তু মহাসেন যাওয়ার আগে পটুয়াখালীর গলাচিপায় একদল আতঙ্কিত মানুষকে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স আশ্রয়কেন্দ্রে। সেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সকল মানুষের মাঝে এখন আনন্দের বন্যা। কারন আশ্রয় কেন্দ্রেই যে জন্ম হল নতুন মহাসেনের। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় এই আশ্রয়কেন্দ্রে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ২৪ বছর বয়সী জ্যোত্স্না বেগম।
পটুয়াখালীর এই আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ কাল সারারাত নির্ঘুম মহাসেন আতঙ্কে কাটান। কিন্তু ভোর হতে না হতেই তারা শুনতে পান এক নবজাতকের চিৎকার। এই ঘটনায় সবার মাঝে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়, ক্ষণিকের জন্য সবাই ঝড়ের কথা ভুলে গিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন নবজাতক কে নিয়ে।
নবজাতকের মা জ্যোত্স্না বেগমের এক আত্মীয় জানান ঝড় মহাসেনের আতঙ্কে জ্যোত্স্না, তার স্বামী ও তার মা গলা চিপা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। তারা আসেন পশ্চিম বোয়ালিয়া গ্রাম থেকে। এসময় জ্যোত্স্না বেগম সন্তান সম্ভবা ছিলেন।
একই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া জ্যোত্স্না বেগমের আরেক প্রতিবেশী বলেন, তারা সারারাত ভয় ও আতঙ্কের মাঝে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন, এরই মাঝে ভোরে এই নবজাতকের জন্মে আমরা সবাই আতঙ্ক কাটিয়ে আনন্দ করেছি।
শিশুটির জন্মের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় শিশুর নানি ধাত্রী হিসেবে সাহায্য করেন। শিশুর বাবা নির্মাণ শ্রমিক ফোরকান মৃধা বলেন আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে ছেলেকে নিয়ে আনন্দে আছি, বাড়িতে সংবাদ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নবজাতকের স্বজনরা অভিযোগ করেন এখন পর্যন্ত শিশুটির কনো খোজ নিতে আসেনি সরকারি কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা।
সংবাদ সূত্রঃ প্রথম আলো।