দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্রমেই বাড়ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন। তাদের ওপর হামলা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা প্রতিরোধে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে চলছে এই অমানবিক নির্যাতন। সেখানে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর এই নির্যাতন চালাচ্ছে মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তারা মুসলমানদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি নারী, পুরুষ এমনকি অবোধ শিশুও! অমানবিকভাবে নির্যাতনের হাত হতে রক্ষা পেতে সেখানকার মুসলমানরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে অনুপ্রবেশ করছে। মানবিক কারণে অনেক রোহিঙ্গা মহিলা ও শিশুদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। আবার রাতের অন্ধকারে অনেকেই ঢুকে পড়ছেন বাংলাদেশে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনসহ জাতিসংঘ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশ্ববাসীকে এই অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। নিরীহ মুসলমাদের ওপর এমন অমানিবিক নির্যাতনের বিচার ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ সেনা ও ১০ পুলিশ নিহত হয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। তবে এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। তারা এমন অভিযোগ তুলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
দেখুন দুটি ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=_ZoD5sxLvMY
https://www.youtube.com/watch?v=9hgkkriRUkY