দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে হলে কার্ডের প্রয়োজন পড়ে সেটি আমাদের সবার জানা। তবে এবার কার্ড ছাড়াই এটিএম বুথে অর্থ উত্তোলন হচ্ছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এমন বিশেষ এটিএম বুথ স্থাপন করা হয়েছে চীনের শ্যাংডং প্রদেশের জিনান শহরে। এই বুথে খুব দ্রুত গ্রাহকের ফেশিয়াল রিকগনিশন স্ক্যাণের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যাচ্ছে কোনো রকম এটিএম কার্ড ছাড়াই! এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না নামে চীনের একটি ব্যাংক তাদের ৩টি বিশেষ বুথে এই সুবিধা দিচ্ছে।
জানানো হয়েছে, গ্রাহকরা অর্থ জমা ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবে, এটিএম কার্ড বহন এবং পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা নেই বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা জু ইয়ানরু।
শুধু এই এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না ছাড়াও চীনের ‘চায়না মার্চেন্ট ব্যাংক’ এবং ‘কনস্ট্রাকশন ব্যাংক অব চায়না’ও প্রযুক্তির প্রয়োগে এই বিশেষ সুবিধা দিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এতে করে কার্ড চুরি, হ্যাক এবং ক্লোনের ঝামেলা থাকছে না। সে কারণে এই ব্যবস্থা জনপ্রিয় হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওইসব ব্যাংক কর্মকর্তারা।
এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না তাদের গ্রাহকদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনে সর্ব্বোচ ৪৫৭ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ তুলতে সাহায্য করছে।
তবে এই পদ্ধতির কারণে কিছু অসুবিধাও দেখা গেছে গ্রাহকদের মধ্যে। বয়স্ক লোকদের চেহারা স্ক্যাণ করতে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয়। আবার দীর্ঘদিনের অভ্যাস কার্ড ব্যবহার অনেকেই ছাড়তে সাহস পাচ্ছেন না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইসব সমস্যা এবং মানসিকতা পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে স্মার্ট সিটি রিসার্চ সেন্টারের জনৈক কর্মকর্তা ইয়ান গ্যান। অল্পদিনের মধ্যে ফেশিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনেকটা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতোই জনপ্রিয় হবে বলে আশা ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়ানের।
বর্তমানে পুরো চীনে জুড়ে নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই ফেশিয়াল রিকগনিশন। বেইজিংয়ের ‘টেম্পল অব হ্যাভেন’ তাদের টয়লেটের টিস্যু চুরি রোধে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই প্রযুক্তি জিনান শহরের বিভিন্ন সুপার মল, ট্রাফিক সেবা এবং ইভটিজারদের ধরতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাজিরাসহ নানা কাজে এই নতুন প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রথম চীনের সেনজেন শহরে এই প্রযুক্তি সেবা চালু করেছিল চায়না মার্চেন্ট ব্যাংক। এরপর তারা চীনের ১০৬টি শহরে ১ হাজার বুথ স্থাপন করে।