দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার মাকে দুই বছর যাবত বন্দি বা লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি ও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার মাকে দুই বছরেরও বেশি সময় যাবত বন্দি বা লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গণমাধ্যগুলোর খবরে বলা হয়, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে সৌদি যুবরাজের মা ও বাদশাহ সালমানের স্ত্রীর কোনো খোঁজ মিলছে না। তবে তার মায়ের রহস্যজনকভাবে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার নানা রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তিনি জানিয়েছেন যে, চিকিৎসার জন্য তার মা এতোদিন দেশের বাইরে ছিলেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা এনবিসিকে বলেছে, তারা বিশ্বাস করেন ক্ষমতা দখলে যুবরাজের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন ও বাদশাহ সালমানকে এ জন্য প্রভাবিত করতে পারেন এমন আশঙ্কা হতেই হয়তো যুবরাজ তার মাকে কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। সে কারণেই তিনি রাজপরিবার হতে মাকে দূরে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুন মাসে নিজের চাচাতো ভাইকে রাজ্যের যুবরাজের পদ হতে সরিয়ে দিলে আলোচনায় আসেন ৩১ বছর বয়সী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তারপরই তিনি দুর্নীতি দমনের নামে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারের ভূমিকা পালন করেন।
দেশটির শীর্ষ ধনী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালালকেও গত বছরের নভেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছিলো। অর্থমন্ত্রী ইব্রাহীম আল আসসাফকেও আটক করা হয় সে সময়।
শুধু তাই নয়, যুবরাজ ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী এবং প্রশাসানে ব্যাপক রদবদল করা হয় ও অনেক কর্মকার্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। যা সৌদি ইতিহাসে এক নজির হয়ে থাকবে।