দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই হাতকাটা বাহারি পোশাক পরতে আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন। এর কারণই হলো হাতের ঝুলে থাকা পেশি। চিন্তার কোনো কারণ নেই, মাত্র কয়েকটি ব্যায়ামেই হবে বাজিমাত।
স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন দেহে একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। মেদ জমতে শুরু করলে পুরো শরীরেই যে মেদ জমবে এমনটি কিন্তু নয়। কার কোনখানে মেদ জমবে, তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির দেহের গঠন ও পারিবারিক ধারার উপর। কারও কারও মুখে মেদ জমে, আবার কারও পেটে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় কাঁধ এবং হাতের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত মেদ জমে। হাত উপরের দিকে তুলতে গেলে তলা থেকে তখন অতিরিক্ত মাংস ঝুলে থাকে। অনেকেই হাতকাটা বাহারি পোশাক পরতে তখন আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন । যারা এই অঞ্চলের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে চান, তাদের জন্য রয়েছে সহজ কয়েকটি সমাধান।
হাতের ঝুলে থাকা পেশি সবল করতে নিয়মিত অভ্যাস করুন এইসব ব্যায়াম।
ট্রাইসেপস এক্সটেনশন
যাদের ওজন তোলার অভ্যাস নেই, তারা প্রথমে চেয়ারে বসে বসেই করতে পারেন এই ব্যায়ামটি। চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। এখন এক হাতে ওজন নিয়ে মাথার ঠিক উপরে উঁচু করে তুলে ধরুন। প্রয়োজনে অন্য হাত দিয়ে বাহুমূল ধরে থাকতে হবে। তারপর হাতের কনুই ভাঁজ করে পিঠের দিকে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনতে হবে। আবার উপরের দিকে তুলুন। এভাবে এক-একটি হাতে প্রথমে এটি ৫ বার, পরে অন্তত ১০ পর্যন্ত করুন।
ট্রাইসেপস ডিপস্
এই ব্যায়ামটির জন্য একটি চেয়ার কিংবা বেঞ্চের সাহায্যও লাগবে। চেয়ারে না বসে, চেয়ারের দু’ধার হাত দিয়ে শক্ত করে ধরতে হবে। এরপর দেহের নিম্নাংশ সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ওই অবস্থায় কোমর ঠেলে সামনের দিকে তুলে ধরতে হবে, এবার নীচের দিকে নামিয়ে নিন। এইভাবে প্রথমে এটি ৫ বার, পরে অন্তত ১০ বার পর্যন্ত অভ্যাস করুন। খেয়াল রাখবেন যেনো চেয়ার কিংবা বেঞ্চটি শক্তপোক্ত হয়।
ডায়মন্ড পুশ আপস
ডায়মন্ড পুশ আপস সাধারণ পুশ আপের মতোই মেঝেতে শুয়ে কিংবা দেওয়ালে হাত রেখে করতে পারেন এই ব্যায়ামটি। শুধু হাতের পাতা দু’পাশে না রেখে বুকের ঠিক কাছাকাছি নিয়ে আসুন। দুই হাতের আঙুল যেনো কোণাকুনিভাবে থাকে। শুরুতে ৫ বার থেকে শুরু করে এটি ধীরে ধীরে ১০ বার পর্যন্ত করতে হবে। এতে আপনি উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org