দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ লেবুতে থাকা ফাইবারের কারণেই পেটভার হয়ে থাকে। অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও তখন কমে যায়, এছাড়াও এই পানীয় বিপাকহার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকে। তাই সব মিলিয়ে ওজন ঝরাতে এই পানীয়টি বেশ কার্যকর। শুধু লেবু পানি না খেয়ে আর কীভাবে পানীয়ের গুণ বৃদ্ধি করতে পারেন, তা জেনে নিন।
এক গ্লাস পানি ও গোটা একটা পাতিলেবু। ফিটনেস নিয়ে যারা সচেতন, তাদের অধিকাংশের ডায়েটের প্রথম সারির পানীয় হলো এটি। শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এই পানীয় অনেকের ক্ষেত্রেই বেশ কার্যকর একটি জিনিস। অনেক ফিটনেসবিদও খাদ্যতালিকায় এই পানীয়টি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। লেবু পানি নিয়ম করে খেলে এতে থাকা ফাইবারের কারণে পেটভার হয়ে থাকে। তখন অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়, এছাড়াও এই পানীয় বিপাকহার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকে। তাই সব মিলিয়ে ওজন ঝরাতে এই পানীয় বেশ কার্যকর একটি জিনিস।
শসা দিয়ে লেবু পানি
লেবু পানিতে শসা মিশিয়ে দিলে তার কার্যকারিতা আরও কয়েকগুন বেড়ে যায়। শসায় ভরপুর মাত্রায় পানি থাকে ও এতে ক্যালোরিও থাকে না। তাই গরমের দিনে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এই পানীয় খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা দিয়ে লেবু পানি
সাধারণ লেবু পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে দিলে তার স্বাদ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে কেবল স্বাদ বৃদ্ধি করতেই নয়, পুদিনা পাতা হজমেও সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও বিপাকহার বৃদ্ধি করতেও পুদিনা অনেক উপকারী। সব মিলিয়ে লেবু পানিতে পুদিনা মিশিয়ে দিলে ওজন ঝরানোর কাজ আরও তরান্বিত হয়।
আদা দিয়ে লেবুর রস
লেবুর রসে এক চা চামচ আদা কুচি মিশিয়ে নিতে পারেন। আদা হজমের জন্যও বেশ উপকারী। এছাড়াও লেবু পানিতে মিশিয়ে দিলে তার স্বাদও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। তাই রোগা হওয়ার ডায়েটে এই পানীয় রাখতে পারেন।
আবার চেহারায় বয়সজনিত ছাপ রুখে দিতে পারে এই লেবুর রস। লেবু প্রাকৃতিক স্ক্রাবারও। তাই রস বের করে নেওয়ার পর লেবুর খোসাও ঘষতে পারেন ত্বকে। এতে ত্বক পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মৃত কোষ নষ্ট হয়ে গিয়ে ত্বক আরও ঝকঝকে হয়ে ওঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org