দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিমেইল বর্তমান বিশ্বে জীবনের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সেটি সবাই স্বীকার করেন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয় ই-মেইলের মাধ্যমে। কিন্তু কী কারণে কোটি কোটি জিমেইল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো গুগল?
জিমেইল এ POP3 ও IMAP সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও গুগল ড্রাইভ এবং গুগল ফটোসের ব্যবহার তো রয়েছেই। বিনামূল্যের এই ওয়েবমেইলটির সার্ভিস দিয়ে থাকে গুগল।
তবে দুঃখের বিষয় হলো ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে গুগল। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে গুগল- এমনটিই জানানো হয়েছে। যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করেন তাহলে সমস্যাতেও পড়তে পারেন আপনি।
ইনঅ্যাক্টিভ জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ
গুগল জানিয়েছে যে, যেসব জিমেইল অ্যাকাউন্ট ২ বছরের বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রয়েছে সেইসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে। এখনকার দিনে অনেকেই একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রাখেন কিন্তু সেগুলো ব্যবহারই করেন না। তাই সার্ভার স্টোরেজ কমাতে গুগল নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়ে পলিসি পেজে যা জানালো গুগল
দুই কিংবা তার বেশি বছর ধরে ব্যবহার না হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টকে গুগল থেকে নোটিফিকেশনও পাঠানো হচ্ছে ও তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সক্রিয় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও যদি অনেক অ্যাকাউন্ট অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে গুগল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা করতে হবে
আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে অন্তত একবার হলেও লগ ইন করুন, ই-মেইল পাঠান, গুগল সার্ভিস ব্যবহার করুন, তারপর ইউটিউবে ভিডিও দেখুন এবং গুগল সার্চ করুন। এভাবে একটিভ থাকুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org