দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি যেমন মানুষকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে ঠিক তেমনি এটি মানুষের জীবনকেও অনেক সময় দুর্বিষহ করে তোলে। বিপথ গামিতা এর প্রধান একটি কারণ।
যুগের পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনের আষ্ঠে-পৃষ্ঠে। প্রযুক্তির ব্যবহার যেনো দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। একদিকে এটি মানুষের জীবন যাত্রাকে করেছে অনেক সহজসাধ্য আবার আরেক দিকে এটি মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে নরকের দ্বারপ্রান্তে। যেমন এর মধ্যে একটি হলো মোবাইল। মোবাইলের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভারতের গুজরাতে বিয়ের আগে মেয়েদের এই মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাজারি করেছে রাজ্যের একটি আদালত। গত ১৪ জুলাই গুজরাতের থাকোর সম্প্রদায়ে এই নির্দেশনাটি জারি হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন যে, একুশ শতকে যখন মেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছেলেদের পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে, তখনও মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণায় আটকে রয়েছে ভারতের কিছু কিছু অঞ্চল। সে রকমই একটা স্থান হলো গুজরাতের বানাসকান্থার দান্তিওয়াড়া। কোনও অবিবাহিত মেয়ে এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, জালোল গ্রামে একটি সভা করে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কোনও অবিবাহিত মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করলে শাস্তি হিসেবে তার বাবাকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় ডিজে পার্টি কিংবা বহু টাকার বাজি পোড়ানোও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই আদেশনামায়। বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
থাকোর সম্প্রদায়ের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কোনও মেয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। এই নিয়মগুলোকে গ্রামের লোকজন তাদের ‘সংবিধান’ হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে!