দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবরোধের সঙ্গে সঙ্গে আজ ভোর থেকে শুরু হয়েছে ১৮ দলের হরতালও। তবে গত কর্মসূচির থেকে গতকাল এবং আজ অনেকটা নিরুত্তাপ মনে হচ্ছে।
গত কয়েকটি অবরোধ ও হরতালে ব্যাপক সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু গতকাল এবং আজ ১৮ দলীয় জোটের যে অবরোধ ও হরতাল চলছে তাতে দেখা যাচ্ছে একেবারে ভিন্ন চিত্র। মনে হচ্ছে নীরব-নি:স্তব্ধ!
অবশ্য এরকম হওয়ার একটিই কারণ আর তা হলো জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সফররত বিশেষ দূত ও রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনি গতকাল ঢাকায় এসেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বিরোধী দলের কর্মসূচি নিরুত্তাপ হওয়ার হয়তো সেটিই কারণ। যেহেতু সমঝোতার জন্য চেষ্টা চলছে সেহেতু কর্মসূচি একেবারে প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। কিন্তু আন্দোলনের গতি যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় সেজন্য কর্মসূচি স্থগিত করেনি বিরোধী দল।
আজ অবরোধের সঙ্গে শুরু হয়েছে হরতাল। অবশ্য পূর্বঘোষণা ছিল আজ ভোর ৬টা থেকে আগামীকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত হরতাল হবে। কিন্তু সে কর্মসূচি পরিবর্তন করে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার স্থলে হরতাল হবে ১২ ঘণ্টা।
আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১৮ দল। যাত্রাবাড়ীতে মাতুয়াইলে একটি বাসে আগুন দিয়েছে হরতালকারীরা। নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দৃবৃত্তরা।
চট্টগ্রামের ষোল শহরে মিছিল করে ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রদল। এ সময় ২ জনকে আটক করে পুলিশ। বরিশালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ সময় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে রাজধানীতে মিনিবাস, টেম্পো, সিএনজি, রিক্সা চলছে। কমলাপুর থেকে বেশ কিছু ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার কোন বাস ছাড়েনি।