দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপি। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা আরও ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। ঝুঁকিতে থাকা ১৫টি দেশকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতি ইবোলা সংকট মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু)। এসব দেশে ইবোলা দ্রুত ছড়াতে পারে বলে এমন আশঙ্কায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশগুলো হলো:
১. আইভরিকোস্ট
২. গিনি বিসাউ
৩. মালি
৪. বেনিন
৫. সেনেগাল
৬. বারকিনা ফাসো
৭. ক্যামেরুন
৮. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
৯. কঙ্গো
১০. ঘানা
১১. জাম্বিয়া
১২. মৌরিতানিয়া
১৩. নাইজেরিয়া
১৪. টোগো ও
১৫. দক্ষিণ সুদান।
এসব দেশে ইবোলা আক্রান্ত না থাকলেও যে কোনো সময় ভাইরাসটি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই এসব দেশকে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র পরিচালক ড. ইসাবেল্রে নুত্তাল বলেছেন, প্রতিমাসেই ইবোলা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। লাইবেরিয়া, সিয়েরালিওন এবং গিনি হতে ইবোলা ভাইরাস যাতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র পরিচালক আরও বলেন, তালিকা করার মূল উদ্দেশ্য হলো ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো। উল্লিখিত দেশগুলোতে হয়তো ইবোলা রোগী এই মুহূর্তে নেই, তবে একজন আক্রান্ত মানেই একাধিক আক্রান্ত হয়ে পড়া। আর তাই ওইসব দেশের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।
ড. ইসাবেল্রে নুত্তাল আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। অপরদিকে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৪ হাজার। প্রতিনিয়ত ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পর্যন্ত ৪২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত ও ২৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই প্রাণঘাতি ইবোলা ভাইরাস কি এবং এটি কিভাবে ছড়াচ্ছে বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
“ছড়িয়ে পড়ছে ইবোলা ভাইরাস: মোকাবেলায় যা কিছু জানা জরুরি”