দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামী কট্টর নীতি থেকে সরে এসে সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময় যে সব কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে তাতে হতবাক হতে হয়। কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আটক সৌদি প্রিন্সরদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দেশটির রাজপ্রাসাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবে কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আটক করা হয় সৌদি প্রিন্সসহ কয়েকজন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের। এবার ওইসব ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দেশটির রাজপ্রাসাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে। ওইসব সূত্র আরও বলেছে, দুর্নীতি দমন অভিযানের নামে সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান বন্দর বিন সুলতানকেও আটক করা হয়।
সৌদি রাজপ্রাসাদের সূত্রগুলো নিউজ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট আই’কে বলেছে যে, আটক প্রিন্স, মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের ওপর পুরনো পদ্ধতিতে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো এসব নির্যাতনের কারণে অনেক বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সৌদি কর্মকর্তারা যে সংখ্যা আটকের কথা বলেছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। এই পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৫ শত জনের বেশি প্রিন্স, কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান বন্দর বিন সুলতান ও সৌদি ধনকুবের ওয়ালিদ বিন তালালের মেয়েও রয়েছেন।
বন্দর বিন সুলতান ২০১২ সালের জুলাই মাস হতে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সৌদি আরবের গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ইতিপূর্বে তিনি ১৯৮৩ হতে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২২ বছর আমেরিকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন বন্দর বিন সুলতান।
সম্প্রতি সৌদি রাজা সালমান নিজ ছেলে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানকে দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই ৪ নভেম্বর রাতে সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর প্রধানসহ বহু প্রিন্স, পদস্থ কর্মকর্তা, বর্তমান এবং সাবেক মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে আটক করেন মোহাম্মাদ বিন সালমান।
দুর্নীতি দমনের কথা বলে এসব ধরপাকড় হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ক্ষমতা সুসংহত করার লক্ষ্যেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কোনো কোনো সূত্র এও বলছে, রাজা সালমান শীঘ্রই রাজতন্ত্রের দায়িত্ব মোহাম্মাদ বিন সালমানের নিকট হস্তান্তর করবেন!