দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাচীনকাল থেকেই মিশর অনেক রহস্যময় একটি দেশ। নানা রহস্যে ভরা এই দেশে কিছুদিন আগে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় কালো গ্রানাইটের এক রহস্যময় কফিনের সন্ধান পান। তারা ধারণা করেছিলেন এই কফিনেই হয়ত থাকতে পারে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের দেহাবশেষ।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এই কফিনটি প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো যা এতদিন অনাবিষ্কৃত ছিল। ভিন্ন চিন্তাবিলাসী কিছু মানুষ মনে করেছিলেন এর মধ্যে হয়ত কোন অভিশাপকে আটকে রাখা হয়েছে যা খুললে মিশরীয়রা আবার অভিশপ্ত হয়ে পড়বে। অবশেষে সেই রহস্যময় কফিনের রহস্য উন্মোচন হল। তবে সবচেয়ে বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এর মধ্যে আলেকজান্ডারের লাশ বা কোন অভিশাপের পরিবর্তে পাওয়া গেছে তিনটি মানুষের কঙ্কাল এবং লালচে রঙয়ের তরল পদার্থ।
কফিনটি খোলার জন্য একদল প্রত্নতাত্ত্বিকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়। এই কফিনটি উন্মোচন করতেই চারিদিকে ছড়িয়ে পরে প্রচন্ড দূর্গন্ধ। তাই কিছুক্ষণের জন্য কফিনটি আবার বন্ধ করে রাখার পর মিশরের মিলিটারি ইঞ্চিনিয়ারদের সহায়তায় কফিনটি সম্পুর্ণ উন্মোচন করা হয়। মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব এন্টিকুইটিসের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, “কফিনে তিনজন মানুষের হাড়গোড় এবং শরীরের পচা অংশের লালচে তরল পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি কোনো পারিবারিক দাফন। মমিগুলোর অবস্থা তেমন ভালো নয়, সম্পূর্ণ গলে কেবল হাড় অবশিষ্ট আছে।”
তিনি আরো জানান কফিনটি খোলার পূর্বে নানা ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকি কফিনে হাজার বছরের আবদ্ধ গ্যাস চারিদিকে ছড়িয়ে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে ভেবে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। অনেকে অবশ্য আগেই ভয়ে এলাকা ত্যাগ করেছিলেন। কফিনে পাওয়া তিনটি কঙ্কালের মধ্যে একজনের মাথার খুলিতে তীরের আঘাত রয়েছে দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই তিনজন হয়তো ফারাওদের আমলের সৈন্য ছিলেন। ২৭ টন ওজন বিশিষ্ট ৩ মিটার লম্বা এবং ২ মিটার উচ্চতার এই কফিনের ভেতরের কঙ্কালের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য বিশেষজ্ঞদল নানা ধরণের গবেষণা চালাচ্ছে।