দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি একটি খাদ্য। এর মধ্যে কম বেশি প্রায় সকল খাদ্য উপাদানই বিদ্যমান রয়েছে। তবে সকল অবস্থায় ডিম খাওয়া ঠিক নয়। আবার ডিম খেলে সেই সাথে অন্য কোন কোন খাবার গ্রহণ করছেন, তার উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। আজ আমরা আলোচনা করব ডিম খেলে কি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে কি না।
স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ক গবেষকরা ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডায়েটারি কোলেস্টেরল অর এগ কনজাম্পশন উইথ ইনসিডেন্ট অফ কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ অ্যান্ড মর্টালিটি’ নামের এই গবেষণা কার্য পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ২৯,৬১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপর চালানো হয় এই গবেষণা। অবশেষে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, অতিমাত্রায় ভোজ্য কোলেস্টেরল বা ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের গুরুতর ঝুঁকি জড়িত এবং রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের অন্যান্য কারণকেও এগুলো প্রভাবিত করে।
বিষয়টি আরেকটু সহজ করে বলা যেতে পারে। কোন ব্যক্তি যদি দৈনিক ৩০০ মি.লি.গ্রাম বা তার বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করে, তবে সেই ব্যক্তির হৃদরোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত একটি ডিমে প্রায় ১৮০-১৮৬ মি.লি.গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তাই আপনি যদি দিনে দুইটা ডিম গ্রহণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়বেন।
খাদ্যাভ্যাস নীতিমালা অনুযায়ী একজন সুস্থ মানুষকে দৈনিক একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকেই আবার জানতে আগ্রহী থাকেন যে, সেই একটি ডিম কি কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন নাকি পুরোটাই খাবেন? আসলে কোন খাদ্যাভাস নীতিমালাতে কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খাওয়ার কথা উল্লেখ নেই। তাই সম্পুর্ণ ডিম খেতে হবে। তবে একের অধিক নয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, আপনি যদি দিনে একটি ডিম খান, তবে অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার গ্রহণের প্রতি সতর্ক হতে হবে। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার বলতে মাছ, মাংস ইত্যাদি। একটি কথা মনে রাখবেন সিদ্ধ ডিমের তুলনায় ভাজা ডিমে চর্বি বেশি থাকে। তাই সিদ্ধ ডম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
মুম্বাইয়ের এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সন্তোশ কুমার ডোরা বলেন, “হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ শুধু ডিম নয়, খাদ্যাভ্যাসের আরও অনেক খাবার রয়েছে যা ডিমের থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।” দিনে কতটুকু প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি গ্রহণ করছি তা নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
তাই এখন থেকে ডিম খাওয়ার প্রতি একটু ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে।