দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর বলেছেন, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কুরআনের সাথেই থাকতে চাই।
জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর বলেছেন, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কুরআনের সাথেই থাকতে চাই।
মিশা সওদাগর বলেছেন, আমি অন্য একটি পেশার মানুষ তবে আল্লাহ’র ভয় সবসময় আমার অন্তরে কাজ করে। কারণ আমি একজন মুসলিম। আমার ধর্ম ইসলাম। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কুরআনের ১ নম্বর কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই। এই কথাগুলো বলছিলেন ঢালিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন তিনি।
৩০ পারা ও ১০ পারা—এ দুই দলে মোট ১৫০ জনের মধ্যে হতে ৯ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৩০ পারা গ্রুপে চারজন ও ১০ পারা গ্রুপে ৫ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই সময় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মেয়ে হুমাইরা মোর্ত্তুজা কুরআন তিলাওয়াত করে উপস্থিত সবাইকে শোনায়।
কুরআনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারায় আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া জানিয়ে মিশা সওদাগর বলেছেন, আমি অন্য একটি পেশার মানুষ তবে আল্লাহ’র ভয় সবসময় আমার অন্তরে কাজ করে। কারণ আমি একজন মুসলিম। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি এখানে বসে শুধু ভাবছিলাম। বাচ্চাগুলো যখন বাম দিকে ফোকাস দেয় সব ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের সব বড় বড় আলেম, বিচারক, হাফেজ-ক্বারী মহোদয়রা এখানে বসে রয়েছেন। ওরও নিশ্চয় ভেতর থেকে কম্পিটিশন আরম্ভ হয়ে যায়; কি জিজ্ঞেস করবেন, কি বলবেন। আপনারা বিশ্বাস করেন আমার সব মিলিয়ে ৮-১০টি সূরা মুখস্ত। আমি ওগুলো বারবার রিপিট করছিলাম। আমাকে যদি বলা হয় আদৌ আমি এখানে বলতে পারবো কিনা। তখন আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিল। এই বাচ্চাগুলো এখানে অকপটে সব বলে দিচ্ছিলো।
মিশা সওদাগর আরও বলেন, আমার ৫৩ বছর বয়সে দুই বার হজ্ব করেছি। অনেক রোজা রেখেছি, আমরা ঢাকাইয়া মানুষ জ্ঞানমতো কোনদিন রোজা ভাঙ্গিনি। অনেক তারাবিও পড়েছি।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তুজা এমপি।