দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন পরিস্থিতি বিশ্ববাসী আগে কখনও দেখেনি। এমন এক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলো যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতি বিশ্ববাসী আগে কখনও দেখেনি। এমন এক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলো যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
চীন থেকে প্রথম যে করোনা সূচনা হয়েছিলো ডিসেম্বর ২০১৯ এ। তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। পরবর্তীকালে চীনের থেকে অন্যান্য দেশেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই করোনা ভাইরাসের প্রপোকতা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্ত বেড়ে গেছে বহুগুণে। ইতিমধ্যেই অনেক বাংলাদেশীর মৃত্যু ঘটেছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবার তা বন্ধ করা হয়েছে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনা পরিস্থিতি বেশ খারাপ। প্রথম দিকে ভারতে এক দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯০/৯৫ হাজার করে। যদিও বর্তমানে কিছুটা কমেছে করোনা ভাইরাসের মাত্রা।
আমাদের দেশে বহির্বিশ্বের মতো পরিস্থিতি না হলেও একেবারে কম হয়নি। প্রথম দিকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো। মাঝে কমে ১২/১৩ তে নেমে এলেও আবারও বাড়ছে করোনার প্রভাব। বর্তমানে পরিস্থিতি যেনো ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউ এ বাংলাদেশে হয়তো আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কারণ শীত আসছে। আর শীত এলে করোনা বাড়বে সেটিই স্বাভাবিক। তাই আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।
পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন ঘটলে দেশের স্কুল-কলেজ বাদে সবকিছুই খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য সেইভাবে চালু হয়নি। এখন গণ পরিবহনে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। অনেক মালিক তেলের পয়সা উঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চলছে পুরো দেশ।
তাই যে কারোনা মানুষকে নি:শ্ব করে তুলেছে সেই করোনা হতে আরও সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ বর্তমান সময় মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মুখে মাস্ক না পরেই অনেকেই বাইরে বের হচ্ছেন। অবশ্য সরকার এই বিষয়ে বেশ কঠোর হচ্ছে। মাস্ক না পরলে জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
আমাদের স্বার্থেই আমাদেরকে ওইসব নিয়ম মেনে ঘরের বাইরে বের হতে হবে। মাস্ক ছাড়া মোটেও ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। যতোটুকু সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। করোনার ছোবল থেকে বাঁচতে হলে এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।