দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইফতারের কথা এলেই প্রথমেই আসে শরবতের কথা। বাড়িতে নিজেদের তৈরি শরবতই সবচেয়ে ভালো। তাই রকমারি শরবত রাখুন আপনার ইফতারে।
নিজেদের তৈরি শরবতে কোনো কৃত্রিম উপাদান থাকে না বলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ইফতারের পর বাসা কিংবা বাড়িতে তৈরি শরবত খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য-ঝুঁকিও কম থাকে। আজ কয়েকটি শরবতের রেসিপি তুলে ধরা হলো:
পুদিনা ও লেবুর শরবত
যে উপকরণ লাগবে: একটি মিডিয়াম সাইজের লেবু, ৩ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা, এক চিমটি লবণ, ৪ টেবিল চামচ চিনি, ২ গ্লাস ঠাণ্ডা পানি সঙ্গে কয়েক টুকরো বরফ কিউব।
প্রস্তুত প্রণালি জেনে নিন: প্রথমে পুদিনা পাতাগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। লেবুর রস এবং অন্যান্য সকল উপকরণ (কেবল বরফ ছাড়া) ব্লেন্ডারে নিয়ে তা ব্লেন্ড করুন। এরপর ভালো করে ছেঁকে নিন। এখন বরফ কিউব এবং পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন পুদিনা লেবুর এই শরবত।
গাজরের শরবত বানাবেন যেভাবে
যে উপকরণ লাগবে: গাজরের রস নিন ৫০০ গ্রাম পরিমাণ, ২ গ্রাম বাসিল, ৩ গ্রাম আদা, তাতে নিন ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, লবণ নিন স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি জেনে নিন: সকল উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তারপর ব্লেন্ড করুন। এবার সেটি ছেঁকে নিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এখন গাজরকে স্লাইস করে কেটে সুন্দর করে সাজিয়ে টেবিলে পরিবেশন করুন গাজরের শরবত।
পুদিনা ও আমের শরবত
যে উপকরণ লাগবে: ২/৩টি কাঁচা আম, কয়েকটি পুদিনা পাতা, চিনি এবং লবণ স্বাদমতো দিতে হবে, ১টি কাঁচা মরিচ, ১ লিটার পানি দিন।
প্রস্তুত প্রণালি জেনে নিন: কাঁচা আম খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে তা কেটে নিন। এবার সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি প্রায় ১০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এরপর ব্লেন্ডারে হালকা পানি দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে ব্লেন্ড করুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন ও এরপর পরিবেশন করুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।