দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর নগরীতে ড্রোন নৌযান তৈরির কয়েকটি কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া।
মস্কো বলেছে যে, ওদেসা শহরে এমন কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে- যেখানে মনুষ্যবিহীন নৌযান তৈরি করা হচ্ছিল।
পশ্চিমা সমর্থন নিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ব্যাপকভাবে’ পাল্টা হামলা চালাচ্ছে বলে যখন ফলাও করে খবর প্রচারিত হচ্ছিল তখন রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার এক ঘোষণায় বলেছে যে, শনিবার রাতের ওই হামলায় পূর্বনির্ধারিত সবগুলো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়া বলেছে যে, দূরপাল্লার উন্নতমানের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি সাগর এবং আকাশ থেকে এমন কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে যেগুলোতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছিল। ওদেসার কাছে এইসব স্থাপনায় ক্রুবিহীন নৌযান তৈরি করা হচ্ছিল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, হামলার শিকার ওইসব স্থাপনাগুলোতে বিদেশী ভাড়াটে সেনারা অবস্থান করছিল।
রুশ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের সেনারা দোনেস্ক, ক্রাসনি লিমান ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ঝাপোরোজ্জিয়া অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে রুশ সেনাদের পাল্টা হামলায় তারা বহু সেনার লাশ ও অস্ত্রসস্ত্র ফেলে পিছু হটেছে।
তবে রাশিয়ার এই হামলায় ওদেসার যেসব ভবন কিংবা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে অর্থোডক্স ক্যাথেড্রাল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রত্যাখ্যন করেছে রাশিয়া।
গির্জাটি ২০০ বছরের বেশি সময় পূর্বে ১৮০৯ সালে নির্মাণ করা হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গির্জায় হামলার খবরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিলই নেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org