দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের উপরেই নির্ভর করছে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া কী রকম হবে কিংবা সোজা কথায় হজম ঠিক হবে কি-না। তাই দেহের বিপাক হার বাড়াতে প্রাত্যহিক জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে হজম ভালো হওয়াটা জরুরি একটি বিষয়। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার অন্যতম কারণই হলো সঠিকভাবে হজম না হওয়া। মেটাবলিজম কিংবা বিপাক এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে থাকে। তাই খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের উপরেই মূলত নির্ভর করছে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া কী রকম হবে কিংবা সোজা কথায় হজম ঠিক হবে কি-না। দেহের বিপাক হার বাড়াতে প্রাত্যহিক জীবনে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন।
# প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রাখতে হবে। কারণ হলো, প্রোটিন খেলে হজমের সময় শরীর অনেক বেশি ক্যালোরি ঝরাতে পারে।
# সারাদিন বেশি করে পানি খান। এতে করে শরীরের বিপাকীয় হার আরও বাড়বে। তবে খেতে বসে পানি না খেয়ে, খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পূর্বে বা ৩০ মিনিট পরে পানি খাওয়া উচিত, তাহলে বিপাকক্রিয়া ভালো থাকে।
# নিরবভাবে অনেকক্ষণ বসে থাকলে ক্যালোরি ঝরার প্রবণতাও তখন কমে যায়। অনেককেই অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে কাজ করতে হয়। সেই ক্ষেত্রেও মাঝে-মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করতে হবে। খাওয়া-দাওয়া সেরেই এক জায়গায় বসবেন না অথবা ঘুমোবেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন তারপরই ঘুমোতে যান।
# বিপাক ক্রিয়ার বিঘ্ন ঘটে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে। এর সঙ্গে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# খুব সময় খালি পেটে থাকবেন না। এতে করে বিপাক ক্রিয়া ব্যাহত হয়। অনেকেই সকালে নাস্তায় খান না, এই অভ্যাসের কারণে বিপাক হার কমে যেতে পারে। খালি পেটে থাকলেই যে রোগা হওয়া যাবে, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। এতে বিপাক হার কমে উল্টো ওজন আরও বেড়ে যেতে পারে, তাই এই বিষয়ে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org