দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিশমিশ ভিজিয়ে খাচ্ছেন না মানেই যে কোনও সুফল নেই তা কিন্তু নয়। তবে ভিজিয়ে খেলে বাড়তি কিছু উপকার পেতে পারেন। সেগুলো আসলে কী?
পায়েস ও পোলাওয়ে কিশমিশ না দিলে রান্না ঠিক মনের মতো হবেই না। আবার টুকটাক মুখ চালাতেও কিশমিশ ভালো একটি বিকল্প। খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, রান্নায় দিয়ে বা শুধু খাওয়ার বদলে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। ভিজিয়ে খাচ্ছেন না মানেই যে কোনো সুফল পাচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। তবে ভিজিয়ে খেলে বাড়তি কিছু উপকার পেতে পারেন। সেই উপকারগুলো কী? আজ জেনে নিন।
হার্টের যত্ন নেয়
পানিতে ভেজানো কিশমিশ হার্টের খেয়াল রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভেজানো কিশমিশের জুড়ি নেই। রক্তচাপ বশে থাকলেই হার্টও ভালো থাকে। এছাড়াও, কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়।
হাড়ের যত্ন নিতে
কিশমিশ হলো ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ একটি ভালো উৎস। যে কারণে হাড়ের যত্ন নিতে কিশমিশের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। তবে সেজন্য ভেজানো কিশমিশের উপর আপনি ভরসা রাখতে পারেন। ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার চেয়ে কিশমিশ খান বেশি পরিমাণ। ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হবে এই কিশমিশ খেলে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য
প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশ ভালো একটি বিকল্প হতে পারে। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে গেলে ওজন বশে রাখাও তখন অনেক সহজসাধ্য হবে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য
সারাদিন ল্যাপটপের কাজ করার কারণে চোখের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক সময় কাজ শেষ করার পর চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে পারে, চোখ জ্বালা-পোড়াও করে। কিশমিশ চোখের যত্ন নেয়। তা ছা়ড়াও, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষরণ কমাতেও খেতে পারেন এই ভেজানো কিশমিশ। সব মিলিয়ে বহু উপকার পাবেন এই কিশমিশ খেলে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org