দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড টেকনো তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা ইন-ক্লাস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্যাসব্রো’র ট্রান্সফরমারস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কোলাবোরেশন করেছে।
এই সহযোগিতার আওতায় টেকনো স্পার্ক ৩০ সিরিজ থেকে বাজারে নিয়ে এলো নতুন ট্রান্সফর্মার্স এডিশন। ট্রান্সফর্মার্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা এই নতুন সংস্করণের ফোন তরুণ প্রজন্মের মতোই প্রাণবন্ত হবে, সঙ্গে থাকবে আইকনিক ডিজাইন ও আরও শক্তিশালী এবং পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা। স্পার্ক ৩০সি এই অংশীদারিত্বের অধীনে রিলিজ হওয়া প্রথম একটি ডিভাইস।
এর ধারাবাহিকতায় টেকনো বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এলো স্পার্ক সিরিজের নতুন ফোন টেকনো স্পার্ক ৩০সি। দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতার সঙ্গে আল্ট্রা-স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে এই ফোনটি। যারা নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী ও ভালো পারফরম্যান্সযুক্ত একটি ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য চমৎকার একটি পছন্দও হতে পারে নতুন এই ডিভাইসটি।
টেকনো স্পার্ক ৩০সি ফোনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় ফিচারের একটি হলো এর “৫০ মাসের দীর্ঘস্থায়ী ফ্লুয়েন্সি” কারণে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো রকম ল্যাগ ছাড়াই উপভোগ করা যাবে এই স্মুথ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। স্থায়িত্বের জন্য এই ফোনটিতে রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স (পানি ও ধূলিকণা প্রতিরোধক) ফিচার। বৈরি আবহাওয়া কিংবা ধুলোময় পরিবেশ যে কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন এই স্পার্ক ৩০সি। যে কারণে যেসব ব্যবহারকারীরা একটু চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করেন বা একটি পাওয়ারফুল স্মার্টফোন প্রয়োজন তাদের জন্য আদর্শ চয়েসও হতে পারে স্পার্ক ৩০সি।
এই ফোনে আরও রয়েছে ইনফ্রারেড রিমোট-কন্ট্রোল ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ঘরের যে কোনো স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে খুব সহজেই। ফোনটিতে আরও রয়েছে ১২০ হার্জ ৬.৬” এইচডি+ আইপিএস স্মুথ ডিসপ্লে। আরও রয়েছে প্রসেসর সেকশনে থাকছে হেলিও জি৮১ অক্টা-কোর প্রসেসর।
স্পার্ক ৩০সি ফোনে আরও থাকছে ১২জিবি র্যাম (৬জিবি + ৬জিবি এক্সটেন্ডেড) ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। স্মুথ ডিসপ্লে, বড় র্যাম, পাওয়ারফুল প্রসেসর এর কম্বিনেশন রেগুলার ব্যবহার থেকে শুরু করে গেমিং সব ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ল্যাগবিহীন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে এই সেটটি।
ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য এই ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, যার সাহায্যে তোলা যাবে উচ্চ-রেজ্যুলেশনে প্রাণবন্ত ছবি তোলা যাবে। রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা নিখুঁত ডিটেইলস সহ ছবি তোলার জন্যও উপযুক্ত। ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংসহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকআপও নিশ্চিত করবে। মনোমুগ্ধকর অডিও অভিজ্ঞতার জন্য এই ডিভাইসে রয়েছে ডিটিএস ডুয়াল সিমেট্রিকাল স্পিকার। স্পার্ক ৩০সি পাওয়া যাবে মাত্র ১৩,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট ব্যতীত) দেশের সকল টেকনো স্টোরে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org