দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি খাবার খাওয়া যায় না। তবে ভারতীয় অভিনেতা নাগার মত ভিন্ন।
অভিনেতাদের ফিটনেস রুটিন, ডায়েট নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহল সব সময়ই থাকে। স্বাস্থ্যসচেতন হলে তো আর কোনো কথাই নেই। সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্য এক সাক্ষাৎকারে তার ডায়েট সম্পর্কে জানিয়েছেন, মদ বা তামাকের চেয়েও শত গুণে খারাপ ও ক্ষতিকর চিনি।
অনেকেই হয়তো জানেন, অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি খাবারও খাওয়া যায় না। এ সম্পর্কে এই অভিনেতা বলেছেন, “চিনি শুধু ডায়াবেটিস নয়, ক্যান্সারের মতো বহু দুরারোগ্য ব্যাধিরও কারণ। তাই আমি চিনি খাওয়ার বিষয়ে খুবই সতর্ক। তবে সপ্তাহে একটা দিন আমি এই নিয়ম ভাঙি।”
ফিটনেসের কথা বললেও শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর এমন সব মিষ্টি পানীয় বা খাবারের সংস্থার প্রচারমুখ বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। সম্প্রতি চৈতন্যকেও দেখা যায় একটি আইসক্রিমের বিজ্ঞাপনে। সব দেখে সাধারণ মানুষ প্রলোভিত হতে পারেন। এ সম্পর্কে নাগা বলেন, “বিজ্ঞাপনে যা দেখানো হয়, তা সব সময় কিন্তু সত্যি নয়। সিনেমার মতো বিজ্ঞাপনেও কিন্তু আমরা অভিনয় করি। ওটা আমাদের পেশা। এর মানে প্রতিদিন ওই সব খাবার আমরা খাই এমনটি কিন্তু নয়। সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কোনও ইচ্ছে আমাদের মোটেও নেই।”
তবে প্রত্যেকের শরীরের গঠন পৃথক, আবার চাহিদাও ভিন্ন। অতিরিক্ত কোনও জিনিস শরীরের জন্য ভালো নয়। কার শরীরে কতোটা চিনি প্রয়োজন, কার আসলে একেবারেই প্রয়োজন নেই, তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। তাই ডায়েটে কোনও পরিবর্তন আনার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org