দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসছে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘বরবাদ’ সিনেমার টিজার প্রকাশ পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। টিজারে বিধ্বংসী রূপে দেখা যায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানকে! যেমনটি আগে কখনও দেখেনি শাকিব ভক্তরা।
১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের টিজারে রীতিমতো দর্শকদের চমকে দিয়েছেন এই তারকা। সেইসঙ্গে দেখা গেছে ওপার বাংলার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে।
ব্লকবাস্টার প্রিয়তমা’র পর বরবাদ-এও দেখা যায় ইধিকা পালকে। এই ছবিতে তিনি শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন।
টিজারটি প্রকাশের পর হুমড়ি খেয়ে দেখছে সিনেমাপ্রেমীরা! কেও কেও আবার বলিউড বা দক্ষিণী সিনেমার টিজারের স্বাদও পাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে, বরবাদ টিজারের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন দর্শকরা।
দর্শকরা বলছেন, এই সিনেমা দিয়ে শাকিব খান আসছে ঈদুল ফিতর মাতাবেন। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে আসছে ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ‘সিকান্দার’-এর টিজারও! একই দিনে মুক্তি পাওয়ায় দুই দেশের দুই সুপারস্টারের কাজকে অনেকেই তুলনামূলক আলোচনাও করছেন।
মুভি লাভারস গ্রুপে ফারহান রেজা লিখেছেন, সালমান খানের ‘সিকান্দার’-এর টিজারের চেয়েও শাকিবের ‘বরবাদ’ টিজার বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে!
টিজার দেখে কেও কেও আলোচনা করছেন যে, শাকিব খান দিন দিন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। টিজারে ভায়োলেন্স থেকে রোমান্স, নীল চোখে শাকিব খান কি ক্যারিশমাটাই না দেখিয়েছেন! সেইসঙ্গে টিজারে শাকিবের সোয়াগ, লুক, কাস্টিউমের তারিফও করেছেন দর্শকরা।
রোমান্টিক এবং এ্যাকশন-ভায়োলেন্স ট্যাগ নিয়ে বরবাদ পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। এটিই হতে যাচ্ছে তার প্রথম সিনেমা। শাকিব-যীশুদের পাশাপাশি নির্মাতার প্রশংসা করে অনেকেই অন্তর্জালে বলেছেন, প্রথম সিনেমাতেই ছক্কা হাঁকাতে যাচ্ছেন নির্মাতা হৃদয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org