দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর শিশুশিল্পী মুন্নির কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে? সেই চরিত্রে অভিনয় করে যিনি দর্শকের হৃদয় কাড়েন, সেই হারশালি মালহোত্রা প্রায় এক দশক পর নতুন রূপে ফিরতে যাচ্ছেন বড় পর্দায়। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে অভিনয়জীবনের পরের অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন।

২০১৫ সালে সালমান খানের সঙ্গে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে বোবা পাকিস্তানি শিশুর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছিলেন হারশালি। তার চোখের অভিব্যক্তি এবং নিষ্পাপ উপস্থিতি তাকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত করে তোলে। বহু বছর পর এবার তিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে আবারও বড় পর্দায় আসছেন। বোয়াপতি শ্রীনুর পরিচালনায় ও নন্দমুরি বলাকৃষ্ণ অভিনীত ‘অখণ্ড ২: থান্ডবম’ সিনেমাতে তাকে দেখা যাবে। তবে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে এটিই তার প্রথম কাজ।
বছরের শুরুতেই ইনস্টাগ্রামে নিজের চরিত্র ‘জাননি’র পরিচয় দিয়ে হারশালি আবেগঘন এক বার্তায় জানান যে, ‘মুন্নি শুধু একটি চরিত্রই নয়; এটি ছিল একটি অনুভূতিও। এতো বছর আপনাদের ভালোবাসা আমি হৃদয়ে ধরে রেখেছি। আপনাদের মনের মধ্যে যখন মুন্নি ছিল, তখন আমি প্রস্তুত হচ্ছিলাম- শেখা, বেড়ে ওঠা ও নতুনভাবে ফিরে আসার জন্যই।’ তার এই বার্তায় বোঝা যায় যে, এবার তিনি শিশুশিল্পী নন, বরং নতুন পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত হয়েছেন।
সম্প্রতি মুম্বাইতে ছবির প্রথম গান ‘দ্য থান্ডবম’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলাকৃষ্ণের পাশে দাঁড়ানো হারশালির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। অনেকেই তার পরিবর্তিত উপস্থিতি দেখে প্রশংসাও করেছেন। কেও কেও লিখেছেন, ‘ওকে আল্লাহ হেফাজতে রাখুন… খুব সুন্দর হয়েছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘মুন্নির শুধু উচ্চতাই বেড়েছে, মুখ এখনও আগের মতোই।’
একসময়ের নীরব সেই ছোট্ট মুন্নি আজ নতুন চরিত্র নিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন। শিশু শিল্পী হিসেবে শুরু করা তার যাত্রা আবার নতুনভাবে শুরু হতে যাচ্ছে, ভক্তদের চোখ এখন সেদিকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org