দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে শক্তিশালী ব্যাটারিযুক্ত নতুন মডেলের স্মার্টফোন নিয়ে আসার ঘোষণা দিলো অপো। ‘অপো এ৬’ মডেলের এই স্মার্টফোনটিতে ৭ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি থাকায় একবার পূর্ণ চার্জ করলে টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা ইউটিউবে ভিডিও দেখা কিংবা ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমোতে ভয়েস কল করা যাবে।

আইপি ৬৯ প্রযুক্তিনির্ভর এই ফোনটিতে পানিরোধী ব্রেথেবল মেমব্রেনসহ বিশেষ সিলও রয়েছে, যে কারণে পানি কিংবা চা-কফি পড়লেও ফোন নষ্ট হয় না। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তির এই স্মার্টফোনটিতে আকারে বড় ভ্যাপর চেম্বার থাকার কারণে দ্রুত তাপ নিঃসরণ হয়, যে কারণে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলেও গরম হবে না। এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন প্রযুক্তি থাকার কারণে দুর্বল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছন্দে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এই স্মার্টফোনটিতে।
স্মার্টফোনটির পেছনে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাও রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। যে কারণে অন্ধকারেও ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব। এআই ইরেজার সুবিধা থাকায় দ্রুত ছবিতে থাকা অবাঞ্ছিত বস্তু মুছে ফেলার সুযোগও মিলবে এই স্মার্টফোনটিতে।
১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার এই স্মার্টফোনটি ১০ ডিসেম্বর থেকে দু’টি সংস্করণে বাজারে পাওয়া যাবে। ৬ এবং ৮ গিগাবাইট র্যামযুক্ত স্মার্টফোনটির দাম যথাক্রমে ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা। এই স্মার্টফোনটি কেনার জন্য অগ্রিম ফরমাশ দিলে লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন উপহারও পাওয়া যাবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org