ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে তথ্য প্রযুক্তির হাওয়া। তাইতো বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া ভাবাই যায় না। আজ তথ্য প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত সংবাদ-১৮ এ বিশ্বের বেশ কিছু তথ্য প্রযুক্তির খবর তুলে ধরা হলো।
বিজ্ঞানীরা ইঁদুর থেকে জেলি ফিশ তৈরি করলেন
এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ ইঁদুরের কোষ থেকে কৃত্রিম জেলি ফিশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। কৃত্রিম হলেও এই জেলি ফিশ প্রাকৃতিক জেলি ফিশের মতোই বিদ্যুৎ-ক্ষেত্রে পড়লে নড়তে এবং সাঁতার কাটতে সক্ষম। হার্ভার্ডে বিজ্ঞানীরা পলিডাইমেথিসিলোক্স্যান এর একটি প্যাটার্নড শিটের উপর ইঁদুরের হূদযন্ত্র থেকে নেয়া কোষের মাধ্যমে একটি একস্তর বিশিষ্ট মাংশকোষ তৈরি করেন। যা মুন জেলি নামক একধরণের জেলি ফিশের চরিত্র নকল করতে পারে। এ ধরণের জেলি ফিশগুলো বৈদ্যুতিক সংকেত তার অবকাঠামোর মধ্যে দিয়ে প্রেরণের মাধ্যমে দেহকে র্যাপিডলি কন্ট্রাক্ট করতে পারে। একটি বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সান্নিধ্যে মেডুসয়েড নামক কৃত্রিম প্রাণীটিকে আনা হলে এখানেও একই ফলাফল লক্ষ্য করা যায়। এর সংকোচন এবং প্রসারণের প্রক্রিয়াটি অনেকটা জেলিফিশের পাওয়ার স্ট্রোকের মত বলে অভিহিত করেন বিজ্ঞানীরা। তবে কৃত্রিম মাংসপেশিকে প্রসারণ করার জন্য এখানে ইলাস্টিক সিলিকনটি কাজ করে।
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক পার্কার বলেন, মর্ফোলজিক্যালি আমরা একটি জেলি ফিশ তৈরি করেছি।
ভারতেও ছাঁটাই পদক্ষেপ টেলিনরের
নরওয়েভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনর বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতে ব্যবসার আওতা কমিয়ে আনার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি তার মোট ১৭,৫০০ কর্মীর ১১ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার কথা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের ১৩টি প্রদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে। ভারতে টুজি কেলেঙ্কারিতে ১২২টি লাইসেন্স হারানো কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেলিনর অন্যতম। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ফেব্রুয়ারিতে বাতিল করা হয় লাইসেন্সগুলো। অভিযোগ তোলা হয়, ২০০৮ সালে প্রতারণার মাধ্যমে লাইসেন্সগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিকে লাইসেন্সগুলো পুনরুদ্ধার করতে নিলামে অংশ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আদালতের আদেশ ও নিলাম দর এখনো নির্ধারিত হয়নি। ভারতে টেলিনরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ইউনিনর নামে। ইউনিনরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিলামের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকায় অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে ইউনিনর। ইউনিনরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিগভে ব্রেক্কে তার বিবৃতিতে বলেন, ৯টি প্রদেশে ভালো ব্যবসায়িক অবস্থান নিশ্চিত করে নিলামে অংশ নেয়াই আমাদের পরিকল্পনা। নিলামে অংশ নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্যাপ্ত নগদ অর্থ থাকা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই ভারত থেকে ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। ভারতে টেলিনরের কর্মীসংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার। এক নির্বাহী ইকোনমিক টাইমসকে জানান, এ ২ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪০০ জন ইউনিনর কর্মী ও ১ হাজার ৬০০ জন ডিস্ট্রিবিউটর। ইউনিনর ভারতের ১৩টি প্রদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে তামিলনাড়-, কেরালা, কর্ণাটক ও উড়িষ্যা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
ব্রাউজারের গতি বাড়ান
বাড়িয়ে দিন আপনার ব্রাউজার-এর গতি। এটা যেকোন ব্রাউজার থেকেই আপনি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রাউজার এর গতি ৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য আপনার মোটামুটি মানের একটা কম্পিউটার ও রহঃবৎহবঃ পড়হহবপঃরড়হ থাকলেই চলবে।
এরজন্য আপনাকে যা করতে হবে, প্রথমে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি িি.িসবফরধভরৎব.পড়স/?হীৎপ৪৫ভংবরড়ন৪১শ লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর ওঘঝঞঅখখ দিতে হবে। ইন্সটল করা হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি জটঘ করে নিন। চিহ্নিত স্থান থেকে আপনার ব্রাউজারটি ঝঊখঊঈঞ করে আপনার প্রয়োজন মতো গতি বারান।
এবার অচচখণ এ ঈখওঈক করুন। এখন আপনি যে ব্রাউজারটি ঝঊখঊঈঞ করেছিলেন সেই ব্রাউজারটি দিয়ে ব্রাউজ করুন।
সেলফোন অপারেটরের গ্রাহক বেড়েছে ১৬ লাখ
গত জুন মাসে বাংলাদেশে ১৬ লাখের বেশি সেলফোনের গ্রাহক বেড়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের গ্রাহক বৃদ্ধির তুলনায় ৭৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। জুনশেষে সেলফোনের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের শীর্ষ সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৯৩ হাজার। জুনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বেড়েছে ৮ লাখ ৮১ হাজার। গত বছরের জুনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বেড়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার। জুনে বাংলালিংকের গ্রাহক বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার।
গত বছরের একই সময়ে বাংলালিংকের গ্রাহক বেড়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার। রবির গ্রাহকসংখ্যা জুনশেষে ১ কোটি ৯২ লাখে দাঁড়ায়। জুনে তাদের গ্রাহক বেড়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার। এর আগের বছরের জুনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বেড়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার। এ বছরের জুনে এয়ারটেলের গ্রাহক বেড়েছে ৬৭ হাজার।
গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বৃদ্ধির সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার। জুনশেষে এয়ারটেলের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৩৪ হাজার। ছয় অপারেটরের মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহকসংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। জুনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক কমেছে ১৪ হাজার। এর আগের বছরের একই সময়ে সিটিসেলের গ্রাহক কমেছে ১৭ হাজার। জুনশেষে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেলফোন অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা ১৩ লাখ ৫৮ হাজার। জুনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বেঁড়েছে ১৬ হাজার।
থ্রিজি নিলাম চূড়ান্ত হবে ডিসেম্বরে
কয়েক দফা সময় পরিবর্তনের পর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থ্রিজি প্রযুক্তির লাইসেন্স সংক্রান্ত নীতিমালা চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করে নিলাম প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করেছে।
একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো খসড়া নীতিমালাও প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়া নীতিমালাটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, থ্রিজির জন্য ২১১০ থেকে ২১৬০ মেগাহার্টজের মধ্যে ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে নিলামের মাধ্যমে। অতিরিক্ত ১০ মেগাহার্টজ রাখা হয়েছে টেলিটকের জন্য। তবে টেলিটক চাইলে নিলামে অংশ নিতে পারবে। মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে থ্রিজি লাইসেন্স দেবে বিটিআরসি। নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকেও থ্রিজি দেয়া হবে। বিটিআরসি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থ্রিজি নিলামের তারিখ প্রস্তাব করে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ নীতিমালা অনুযায়ী থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা দিতে নিলামের আয়োজন করবে বিটিআরসি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা খসড়া থ্রিজি, ফোরজি বা এলটিই রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং নীতিমালা সম্পর্কে ২২ আগস্টের মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এ জন্য সাইটে একটি ই-মেইল ঠিকানা দেয়া আছে। জানা যায়, এর আগে যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জুলাই নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ আগস্টের মধ্যে আর্নেস্টমানি জমা দিলে বিটিআরসি ১৩ আগস্টের মধ্যে চিঠি দিয়ে তাদের অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিশ্চিত করার কথা ছিল। তবে নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদনের ওপর এটির বাস্তবায়ন নির্ভর করছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এ নিলামের আয়োজনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এবং আশা করা হচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নীতিমালা চূড়ান্ত করে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।