দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধুমাত্র অনুমানের ওপর নির্ভর করে কোন কাজ হয় না। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে মালয়েশীয় বিমান নিখোঁজের পর। একের পর এক তথ্য আসছে অথচ বাস্তবিকভাবে কোন ফল আসছে না। এমন অবস্থা চলছে গত ১৬ দিন যাবত।
গতকাল রবিবার হঠাৎ করেই খবর আসে অস্ট্রেয়িয়ার নৌ অনুসন্ধানকারী দল সিটবেল্টসহ বিমানের কিছু অংশ পেয়েছে। পরে সেটিরও কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। স্যাটেলাইটের ছবি দেখে গত কয়েকদিন বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উল্লেখ্যযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি। অন্ধকারে হাতড়ানোর মতো করে এগিয়ে চলেছে অনুসন্ধানের কাজ।
অনুমান আর সম্ভাবনাকে সম্বল করে পার করা হয়েছে ১৬ দিন। যদিও কয়েকটি তথ্যকে মিলিয়ে এবার কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে ধারণা হচ্ছে। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে প্রথম যে দুটি বস্তু দেখার কথা বলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ঠিক দুই দিন পর চীনও বলেছে একই কথা। এখন আবার ফ্রান্সও এমন দাবি করেছে। অর্থাৎ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে মোটামুটি কাছাকাছি এলাকায় সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের ৩ দফা ছবি পাওয়া গেল। যদিও এখন পর্যন্ত কোনোটিই নিশ্চিত কোন তথ্য নয়। তারপরও একই ধরনের তথ্যের কারণে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আশান্বিত হচ্ছেন।
সর্বশেষ ফ্রান্সের কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০-এর সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ ধরা পড়েছে বলে দাবি করেছে তারা। গতকাল রবিবার ওই ছবিগুলো মালয়েশিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। এমনকি এই তথ্যটি তাৎক্ষণিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধারকারী সমন্বয়কেন্দ্রেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এই কাজের জন্য ৮টি বিমানও মোতায়েন করে। অপরদিকে চীন দুটি বিমান পাঠিয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য।
তবে তোড়-জোড় যতই থাকুক এখন পর্যন্ত কোন ভালো খবর আসেনি। বিমানটি ছিনতাই হোক আর ধ্বংস হোক এর একটি হদিস দরকার। সংশ্লিষ্ট দেশসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশ অনুসন্ধানে সহযোগিতা করে আসছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, বাংলাদেশ অপরদিকে চীন ও মালয়েশীয়া তো রয়েছেই।
সব কিছুর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে সেটিই এখন বিশ্ববাসীর কাছে মুখ্য বিষয়। বিমানের নিখোঁজ আরহীদের পরিবারবর্গও আশা করছেন তেমনটিই।