দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি দলের এই সংসদ সদস্যকে নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা কথা। যে কারণে একটি প্রতারণার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার নিয়েও শুরু হয়েছে নানা ধরনের কাহিনী।
মমতাজ বেগম বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যও। সম্প্রতি একটি প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কার্যকর করা নিয়ে সরকারের ভেতর চলছে নানা টানপোড়েন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ হতে মমতাজের বিরুদ্ধে আদালতে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, মমতাজকে গ্রেফতারের ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে সহযোগিতা করতেও বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বলছে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকেও মমতাজকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারতে মমতাজের বিরুদ্ধে জারি করা লুক আউট নোটিশ এখনও পূর্বের ন্যায় বলবৎ রয়েছে। পুলিশের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের একটি আদালতে বাংলাদেশী শিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দফায় কয়েক লাখ রুপি অগ্রিম অর্থ নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী অনুষ্ঠান না করার অভিযোগ করে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৪০২, ৪০৬ ও ৫০৬ ধারায় একটি প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় তিনি হাজির হয়ে জামিন নিলেও জামিনের শর্ত না মানায় কোলকাতা হাইকোটের নির্দেশে তার জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক বহরমপুর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তা কার্যকর করা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সমস্যা। ফলে আদালতে পুলিশের পক্ষ হতে রিপোর্ট দিয়ে গ্রেফতারের ব্যাপারে সরকারের অসহায়তার কথা জানানো হয়।’
জানা যায়, আদালতে দাখিল করা সর্বশেষ রিপোর্টে পুলিশের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশ সরকারকে মমতাজের গ্রেফতারের ব্যাপারে নিয়মিত তাগাদা দিলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। ভারতীয় হাইকমিশনের কনস্যুলার এবং ভিসা সেক্রেটারি সুমিত চতুর্বেদী কোলকাতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্রাঞ্চ অফিসের ডিরেক্টর রঞ্জন মন্ডলকে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, মিশনের পক্ষ হতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মমতাজকে গ্রেফতারের ব্যাপারে নিয়মিত তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার আবেদনকারী শক্তিশঙ্কর বাগচী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও ২০১২ সালে কলকাতায় এসে মমতাজ রাজ্যের শাসক দলের এক বিধায়কের আশ্রয়ে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময়ও বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ তাকে আটক না করার ঘটনায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: সময়ের কণ্ঠস্বর