দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকসহ অন্যান্য অনলাইন ক্রাইম বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেশ কিছু ঘটনার কারণে জেল জরিমানাও হয়েছে। কিন্তু তারপরও থামছে না এসব অপরাধ।
বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো বেশির ভাগ প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার মতো ঘটনা। এগুলোর জন্য বেশ কয়েকজনের জেল জরিমানাও হয়েছে। কিন্তু তারপরও কমছে না অপরাধ প্রবণতা। অপরদিকে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, অন্যান্য ব্যক্তির ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন সব তথ্য প্রযুক্তির ক্রাইম।
মাঝে-মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে এমন সব ঘটনা। ফেসবুকে কারো কারো গোপন ছবি আপলোড করে বিব্রত করা হচ্ছে। এমন ঘটনা সাম্প্রতিক সমযে অতিরিক্ত আকারে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এসব সাইবার ক্রাইমপ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সজাগ থাকলেও একের পর এক ঘটে যাচ্ছে এসব ঘটনা। চট্টগ্রামেও ঘটেছে এমন একটি ক্রাইম। কদিন আগে মোবাইল সেট নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এক কলেজছাত্রীর। এরপর তিনি তা সারাতে দিয়ে আসেন ইমরান নামে এক মেরামতকারীর কাছে। তবে ওই ছাত্রী তার মোবাইল হতে মেমোরি কার্ড বের করতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর এই সুযোগটির অপব্যবহার করেন ওই মেরামতকারী।
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। ইমরান মোবাইলের মেমোরি কার্ড হতে ওই ছাত্রীর ছবি এবং ভিডিও নিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে অশালীন মন্তব্যও করেন। এমন গর্হিত কাজ করে অবশ্য পার পাননি ইমরান। অভিযোগ করার পর গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন। গতকাল সকালে ইমরানকে বাকলিয়া থানার ইছাইক্যার পুল এলাকা হতে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ইমরানের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বলে জানা যায়।
দিন যতো গড়াচ্ছে এন্ড্রয়েড মোবাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি হাতের নাগালে চলে আসছে। এর সে কারণে এভাবে একের পর এক বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইনে প্রায় সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও অনেক ক্ষেত্রে এগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে এসব অপরাধীদের ধরিয়ে দিচ্ছেন না। আর এভাবেই একটি চক্র একের পর এক এসব ক্রাইম করতে সাহস পাচ্ছে।
এই বিষয়ে এখন গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে ভবিষ্যতে এসব ক্রাইম মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা বড়ই কঠিন হবে।