দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয়া ও্ ইন্দোনেশীয়া সাগরে ভাসা অধিবাসীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয় দিলেও থাইল্যান্ড সাগরেই ত্রাণ সহায়তা দিবে এসব অধিবাসীদের। তবে ডাঙ্গায় উঠলেই বিচারের মুখোমুখি করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
থাইল্যান্ড বলেছে, অভিবাসন প্রত্যাশী নৌকা পাওয়া গেলে আরোহীদের সাগরেই ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করবে। তবে কেও যদি চিকিৎসা অথবা অন্য কোনো কারণে থাই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
সংবাদ মাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগরে ভাসা বাংলাদেশী এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ত্রাণ সরবরাহে আন্দামান সাগরে নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠাচ্ছে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুৎ চান ওচা জানিয়েছেন, পুলিশ ও চিকিৎসকসহ ‘ভাসমান নৌঘাঁটি’র মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহে থাইল্যান্ডের স্থানীয় মুদ্রায় ৪৯০ কোটি বাথ বাজেট ধরা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, শীঘ্রই ‘এইচটিএমএস অং থং’ নামে নৌবাহিনীর বিশাল একটি জাহাজ সমুদ্রে পাঠানো হবে। জাহাজটিতে ৭৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী, ৩৯০ ক্রু, রোগীদের রাখার স্থান, অস্ত্রোপচার (ছোট) ও দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কক্ষের ব্যবস্থাও রয়েছে।
জেনারেল ওচা বলেন, ‘যদি কোনো নৌকা (অভিবাসন প্রত্যাশী) পাওয়া যায়, তাহলে তাদের ত্রাণ সহায়তার জন্য জাহাজটিকে তখন কাছে আনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘থাই জলসীমায় কাওকে অসুস্থ বা আহতাবস্থায় পাওয়া গেলে তাদের থাইল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাদের।’
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশী নৌকার অনুসন্ধানে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, তারা নৌকার খোঁজে বিমান পাঠাবে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় স্বাগত জানিয়েছেন ওচা। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের সহযোগিতাকে স্বাগতম জানাবে থাইল্যান্ড। মালয়েশীয়া ও ইন্দোনেশীয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সাগরে আটকে পড়া অধিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়নি থাইল্যান্ড।