দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে কত রকম যানবাহন রয়েছে তা গুনে শেষ করা যাবে না। তবে কিছু কিছু যানবাহন নাড়া দেওয়ার মতো। এমনই ব্যতিক্রমি জনপ্রিয় কয়েকটি যানবাহন সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদন।
সারাবিশ্বেই রয়েছে নানা রকম যানবাহন। সেসব যানবাহন দিয়েই মূলত যাতায়াতের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও কিছু কিছু যানবাহনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সচল এসব যানবাহনের মধ্যে কোনটি পেট্রল-ডিজেলে চলে, আবার কোনটি নেহাৎ মনুষ্যচালিত শক্তিতেই চলে থাকে। এমন কিছু যানবাহন নিয়েই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।
মোপেড
মোপেড হলো ভিয়েতনামের হালকা অটোসাইকেল বা মোটরবাইক। এগুলো ওই এলাকায় বিশেষভাবে জনপ্রিয়। রাজধানী হ্যানয়-এর লোকসংখ্যা ৬৫ লাখ। কিন্তু সেখানে মোপেড চলে ৪০ লাখ। টুরিস্টরাও মোপেডে চড়ে শহর দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন।
সুকুদু
সুকুদু একটি ব্যতিক্রমি যানবাহন। এর দু’টি ছোট ছোট চাকা, হাতল একটি, মালপত্র রাখার অনেকটা জায়গা রয়েছে- তবে সব কিছুই কাঠের তৈরি। এই অসাধারণ যানবাহনটি বিশেষ করে পূর্ব কঙ্গোয় বানানো হয়। তারা এটি ব্যবহার করেন। এটি জনপ্রিয়তাও রয়েছে ওই অঞ্চলে। সুকুদু এমন একটি যানবাহন যার ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না, স্রেফ ঠেলে চালানো হয়।
সুকুদু
বাঁশের ট্রেন
বাঁশের ট্রেন হলেও এর আসল নাম হলো নরি। এটিতে এখন আর তেমন যাত্রী ওঠে না। কিন্তু বাঁশের ট্রেন ব্যাকপ্যাক টুরিস্টদের কাছে খুবই প্রিয় একটি যানবাহন। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এটি। ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে, ছোটখাটো গাঁ পেরিয়ে যেতে ভালো লাগে টুরিস্টদের। এটিতে চড়তে পারবেন কম্বোডিয়ায় গেলে।
জিপনি
জিপনি ফিলিপিনের যানবাহন। এটি ঠিক জিপ নয়, জিপ গোত্রীয় গাড়ি বলা যায়। এই গাড়ি দিয়ে ভস ভস করে ধোঁয়া বেরোয়, কেনোনা গাড়িগুলো খুবই পুরনো। এই জিপনিগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সৈন্যদের ফেলে রেখে যাওয়া জিপ হতে তৈরি হতো। রংচংও করা হতো ফিলিপিনি ঢঙে। এখন অবশ্য এর নতুন নতুন মডেল উঠেছে।
টুক টুক
অবশ্য এই টুক টুক থাইল্যান্ডেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে চলাচল করে। পর্যটকদের প্রিয়, কেনোনা টুক টুক ট্যাক্সির চেয়ে অনেক সস্তা। টুক টুক’র আরেক নাম অটো রিকশা।
রিকশা
এটি মূলত বাংলাদেশের একটি যানবাহন। অন্তত মফস্বলে – সাইকেল রিকশা ছাড়া জীবন কল্পনা করা যাবে না। তবে সম্প্রতি এসব মনুষ্যচালিত সাইকেল রিকশার মডেলেও ঘটেছে পরিবর্তন। এতে লাগানো হয় ব্যাটারিচালিত যন্ত্র। যাতে ওই যন্ত্র দিয়েই চলাচল করতে পারে।
মালবাহী বাইসাইকেল
ইউরোপে এখন সাইকেল হতে রিকশা, অশ্বশক্তির বদলে পেশিশক্তিতেও চলে, এমন সব ধরনের যানের চলাচল। জার্মানিতে এই ধরনের ‘লাস্টেনরাড’ বা মালবাহী সাইকেল মালপত্র বওয়া হতে শুরু করে কচিকাঁচাকে কিন্ডারগার্টেনে পৌঁছে দেওয়া, মোট কথা সব কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নসিমন করিমন
নসিমন করিমন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের একটি জনপ্রিয় যানবাহনে পরিণত হয়েছে। তিন চাকার এই যানবাহনটিতে মালামাল পরিবহন এবং মানুষের যাতায়াত দুটিই করা হয় এই যানবাহনটি দিয়ে। স্যালোর ইঞ্জিন দিয়ে চলে মূলত এই নসিমন করিমন।