দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২ বছর ধরে একটি কুকুরকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। কুকুরটি কি অপরাধ জানা নেই, তবুও শেষ পর্যন্ত কুকুরটির মৃত্যুদণ্ড হলো!
আকটকৃত কুকুরটিকে হত্যা করার আদেশ অনুমোদন করেছে স্থানীয় একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। তবে আপিল করার জন্যে স্টেলার মালিককে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৮ দিন।
২ বছর ধরে একটি কুকুরকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। স্টেলা নামের এই কুকুরটিকে আটক করে ২০১৪ সালে। তারপর হতেই এটিকে ডেভনে (৩ ফুট বাই ৯ ফুটের) একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে।
কুকুরটি কেনো বাইরে হাঁটা-চলা করতে পারবে না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ডেভন এবং কর্নওয়ালের পুলিশ। পুলিশ শুধু এটুকু বলেছে, কুকুরটি খুবই বিপদজ্জক।
কর্নওয়ালের পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আইনের আওতায় কুকুরটিকে আটকে রাখা হয়েছে। তারপর কুকুরটির আচার-আচরণ দেখার জন্য এই ২ বছর সময় ধরে নজরে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২ বছর পূর্বে স্টেলার মালিককে যখন অন্য একটি মামলায় আটক করা হয়, ঠিক তখন তাকেও জব্দ করা হয়। প্রথমেই স্টেলারের আচার-আচরণ এবং জাতের কারণে পুলিশ তাকে বিপজ্জনক বলে ধারণা করছিল। তবে স্টেলার মালিক বলছে, তার কাছে কুকুরটি খুব স্বাভাবিক ছিল। সে কখনও কারও সঙ্গে সহিংস আচরণ করেনি।
এই বিষয়টি নিয়ে গত ২ বছর ধরেই কোর্টে মামলা চলছে। শুনানির সময় স্টেলারের আচরণের নানা ভিডিও তুলে ধরা হয়। এই মামলায় স্টেলার মালিক তাকে ফিরে পেতে ১১ বার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত মালিক মামলায় হেরে গেছেন। আদালত এই মাসেই কুকুরটিকে মেরে ফেলার আদেশ জারি করেছে।
পুলিশ বলছে যে, এরকম আরও বহু কুকুর তারা বিভিন্ন সময় জব্দ করলেও শুনানি চলাকালে সেগুলোকে কিছুদিনের জন্যে মালিকের নিকট ফেরতও পাঠানো হয়। তবে কিছু কিছু কুকুর রয়েছে যেগুলোকে কখনই ফেরত পাঠানো সম্ভব হয় না।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে বিগত ৫ বছরে পুলিশের হাতে জব্দ হওয়া এরকম কুকুরের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার হবে। এদের পেছনে পুলিশের খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ পাউন্ড।