দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাগ্যবান ওই বিড়ালটির নাম ব্রাউজার। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণগ্রন্থাগারে ৬ বছর ধরে বসবাস করেছে সে। তবে এই বিড়ালটিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত হলো ভোটাভোটি!
তবে দীর্ঘ ৬ বছর বসবাস করার পরও এখন এই প্রাণীটির ঠিকানা হবে অন্য কোথাও। কারণ হলো টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ওয়ার্থ নগর কর্তৃপক্ষ এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাপারটি অবশ্য খুব সহজ কাজ ছিল না। কারণ হলো ব্রাউজারের বিরোধী যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি অনুরাগী-সমর্থকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। তাই সে ওই গণগ্রন্থাগারে থাকতে পারবে কি না, সেটি রীতিমতো ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হয়েছে। শেষমেশ ঠিক হলো, ৩০ দিনের মধ্যে বিড়ালটির জন্য নতুন আবাসস্থল খুঁজে বের করতে হবে!
নগর পরিষদের সদস্য এলজি ক্লেমেন্টস ১৪ জুন ওই বিড়াল নিয়ে সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বিশেষ বৈঠক ডাকেন। এরপরই বিষয়টি ভোটাভুটিতে চূড়ান্ত করা হয়।
মেয়র রন হোয়াইট স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সিটি হলের কোনো কর্মী পোষা বিড়াল নিয়ে কোনো অবস্থাতেই অফিসে প্রবেশ করতে পারেন না। আবার গণগ্রন্থাগারেও বিড়াল রাখার সুযোগ নেই। তবে ব্রাউজারকে নিয়ে এতোদিন কোনো আপত্তি ওঠেনি।
অবশ্য ব্রাউজারের সমর্থকরা এখনও হাল ছাড়েন নি। পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যালান প্রাইস বলেছেন, বিড়ালটির পুনর্বহাল চেয়ে তারা একটি আবেদন করবেন। শিশুরা এই বিড়ালটিকে খুব ভালোবাসে। ও তো শুধু একটা বিড়াল নয়, সবার আপনজনের মতোই। ৬ বছর ধরে গ্রন্থাগারে বসবাস করে আসছে সে। ফেসবুকে ব্রাউজারের নিজস্ব পেজও রয়েছে। তার বন্ধু এবং সমর্থকরা একটি পিটিশন করবেন। প্রয়োজনে এই বিষয়ে আবার ভোটাভুটির দাবি জানানো হবে।
ফ্রেন্ডস অব দ্য হোয়াইট সেটলমেন্ট পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট লিলিয়ান ব্ল্যাকবার্ন বলেছেন, তারা বিড়ালটির ভালোর জন্য যেকোনো উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত।