দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রাদুর্ভাব রোধে সবচেয়ে উত্তম উপায়ের মধ্যে একটি হলো, ঘরে আবদ্ধ থাকা এবং প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া। তাই তারা এবার ঘর কুনোদের হিরোর মর্যাদা দিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রাদুর্ভাব রোধে ঘরের মধ্যে থাকতে জার্মানীতে এক উপায়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে নেওয়া হয়েছে অভিনব এক উদ্যোগ। যে মানুষগুলো সারাদিন বাসায় থেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন, তাদের হিরোর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে দেশটিতে।
বিলম্বে প্রাপ্ত ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই বিষয়কটি নিয়ে একটি বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করে জার্মান সরকার। বিজ্ঞাপ্তিটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সাড়া ফেলে দেয়। কারণ এর শিরোনাম দেওয়া হয়, ‘করোনাকালীন দিনের আসল হিরো।’
বিজ্ঞপ্তিতে মূলত সোফা থেকে উঠতে না চাওয়া অলস ব্যক্তিদের কথায় উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এদের বলা হয়ে থাকে ‘কাউচ পটেটো’। এইসব ‘কাউচ পটেটো’-দেরই নায়কের মর্যাদা দিয়েছে জার্মানী।
সচেতনতামূলক এই মজার বিজ্ঞাপ্তিটির স্লোগান এমন- লড়াইয়ের ময়দান যখন সোফা, তখন ধৈর্য্যই হলো লড়াইয়ের অস্ত্র’। এর মধ্যদিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বাইরে বের না হওয়ার কথায় মনে করিয়ে দিয়ে জার্মান সরকার বার্তা দিচ্ছে যে, বাসায় বসে থাকলেও অনেক সময় হিরো হওয়া যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।