দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা শুনে বিশ্বাস হবে না। তবে ঘটনাটি আসলেও সত্যি। একজন পাষণ্ড মা তার সন্তানকে ৫ বছর ধরে লকারের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন! এও কী সম্ভব?
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, টোকিও শহরের এক মা তার সন্তানকে রেল স্টেশনের লকারে ৫ বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছেন! হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকেই আউড়ে চলেছিলেন এক মহিলা। থানায় গিয়ে তিনি জানান, লকারের ভিতরে প্লাস্টিকে মুড়ে আমি তাকে লুকিয়ে রেখেছি! প্রথম নিজের কানকেই যেনো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পুলিশ কর্তারা। তবে পরে মহিলার কথা শুনে রেল স্টেশনের ওই লকার খুলতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশের কর্তব্যরত কর্মকর্তারা। একি কাণ্ড!
লকারের ভিতরে তখনও প্লাস্টিকে জড়ানো রয়েছে একটি শিশুর দেহ। দেহ টিক নয়। আসলে ভিতরে প্লাস্টিকে জড়ানো অবস্থায় রাখা রয়েছে কতোগুলো মানুষের হাড়গোড়! মৃত্যুর ৫ বছর পর মাংস গলে হাড় বেরিয়ে যাবে সেটি তো স্বাভাবিক বিষয়!
সম্প্রতি ঠিক এমনই অত্যাশ্চর্য অভিজ্ঞতা হলো টোকিও পুলিশ কর্তাদের। টোকিওর উগুইসুদানি রেল স্টেশন হতে ওই শিশুর হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আসলে ঠিক কী ঘটেছিল? নিজের সন্তানকে কেনো তিনি লকারে লুকিয়ে রেখেছিলেন? পুলিশের কাছে বিষয়টি নিজেই খোলসা করলেন ওই মহিলা।
পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ৫ বছর পূর্বে তিনি একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেন। যদি কেও সেটা জানতে পেরে যায়, তাই গোপন রাখতে মৃত শিশুকে রেল স্টেশনের লকারের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন তিনি। স্টেশনের ওই লকারের ভাড়া তিনিই বহন করতেন। এই ৫ বছর ধরে নিয়মমাফিক ভাড়াও দিয়ে আসছিলেন তিনি।
সম্প্রতি পার্টনারের সঙ্গে তার সম্পর্কে চির ধরে। পার্টনার বাড়ি হতে তাকে বার করে দেন। লকারের চাবিটা ওই মহিলা বাড়িতেই ফেলে এসেছিলেন, কারণ পাছে যদি কেও জানতে পারেন সেই ভয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। সব ঘটনা পুলিশকে খুলে বলেন তিনি। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। ওই মহিলা ঠিক বলছেন কি না পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।