দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সাধারণত মন থেকে কেউ বৃদ্ধ হতে চাই না। তবে বয়স বাড়লে তো আর বার্ধক্যকে আকটানো যায় না। তবে কিছু মানুষকে দেখে মনে হয় তাদের বয়স হয়ত ৩০-৩৫ হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের বয়স ৪৫-৫০ এর বেশি। আবার কাওকে দেখে মনে হয় বয়স প্রায় ৪৫-৫০ হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার বয়স হয়ত ৩০ বছর।
বিভিন্ন কারণে এমন বৈস্বাদৃশ্যতা দেখা যায়। তবে বেশ কিছু কৌশল এখন থেকেই মেনে চললে বয়সের দিক থেকে বার্ধক্যে পৌছালেও আপনি থাকবেন মধ্যবয়সীদের মত তরুণ। অর্থাৎ ৪৫-৫০ বছরেও আপনাকে মনে হবে ৩০ বছরের তুরুণ। আজ আমরা এমনি কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব।
১। সুষম সমৃদ্ধ পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণঃ
বয়সের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরের বেশ কিছু জায়গায় বলি রেখা দেখা দেয়। এই বলি রেখা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খেতে হবে। কারণ সুষম খাবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে বলি রেখা পরতে বাধা প্রদান করে।
২। ক্রাশ ডায়েটের পরিবর্তে ব্যালেন্সড ডায়েট করাঃ
অনেকেই ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবার পরিহার করেন। এটা আমাদের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করে। যার ফলে দেখতে বেশি বয়ষ্ক মনে হয়। তাই ক্রাশ ডায়েট না করে ব্যালেন্সড ডায়েট করবেন। এতে ত্বক সতেজ থাকবে।
৩। সানস্কিন সামগ্রীর ব্যবহারঃ
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আমাদের ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি করে। যা দ্রুত ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ সৃষ্টি করে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকে সানস্কিন জাতীয় কিছু ব্যবহার করুন। এমনকি ঘরে থাকাকালীন সময়েও হালকা জাতীয় সানস্কিন ব্যবহার করতে পারেন।
৪। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বন্ধ করুন :
চিনি খাওয়া ভাল তবে অতিরিক্ত নয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে চেহারায় বয়ষ্কের ভাব ফুটে ওঠে। তাই আজ থেকে কম চিনি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫। চিকিৎসকের পরামর্শ মত প্রসাধণী ব্যবহার করুনঃ
সবার ত্বক এক রকম নয়। বিশেষ করে কারো ত্বক মসৃণ আবার কারো ত্বক তেলাক্ত। সুতরাং সবাই একই রকম প্রসাধণী ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিবে। তাই কোন প্রসাধণী ব্যবহারের জন্য নিশ্চিত হয়ে নিন সেটি আপনার ত্বকের উপযোগী কি না।
৬। গ্রীন টি পান করুন :
ত্বককে তরতাজা রাখতে গ্রীন টির অনেক সুনাম রয়েছে। গ্রীন টি ত্বকের ক্ষয় রোধ করে এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন গ্রীন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৭। প্রচুর পানি পান করুনঃ
আমাদের শরীরের জৈবিক কার্য সম্পাদন করতে পানির বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরের ত্বক উজ্জ্বলতা হারায় এবং কুঁচকে যায়। ফলে বার্ধক্যের আগেই শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পরে। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। তবেই চেহারা তারুণ্যতা ধরে রাখতে পারবে।
৮। পর্যাপ্ত ঘুমঃ
ঘুম হচ্ছে তারুণ্য ধরে রাখার একটি অন্যতম উপায়। আমাদের দৈনিক কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরী। এবং এই ঘুমের মাঝে কোন ব্রেক দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যাকে বলে সাউন্ড স্লিপ তেমন ঘুম পারতে হবে। কম ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে যেমন ঠিক মত কাজ করতে বাধাগ্রস্থ করে ঠিক তেমনি আমাদের তারুণ্যতা ধরে রাখতে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।