দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি বিশ্বে যে যত আধুনিকতাকে সর্ব প্রথম সবার সামনে উন্মোচন করবে তারাই তত এগিয়ে যাবে। এটাই আধুনিক বিশ্বের মূল মন্ত্র হয়ে দাড়িয়েছে। নিজেদেরকে সবার উপরে রাখতেই এবার চীন সিক্স জি নিয়ে কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
চীন চলতি বছরের মার্চ মাসেই সিক্স জি নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। চীনের প্রযুক্তিবিদরা বলেন, তারাই বিশ্বের প্রথম সিক্স জি নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং তারাই প্রথম বিশ্ববাসীকে সিক্স জি সুবিধা দিবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এখনো ফাইভ জিই ঠিক মত চালু হয়নি। এমনকি বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ গুলো এখনো ঠিক মত ফোর জি চালু করতে পারে নি। অথচ চীন ইতিমধ্যে সিক্স জি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন বিশ্বব্যাপী ফাইভ জি ঠিক মত চালু হলেই ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হবে ইন্টারনেট অফ থিংকসের। তখন মানুষ সব কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবে। ঘরের দরজা থেকে শুরু করে রান্না ঘরের চুলা, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি সব ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। তাহলে সিক্স জি চালু হলে কেমন হবে একবার ভাবুন তো?
প্রযুক্তিবিদদের মতে সিক্স জি সেবা যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে, তখন ইন্টারনেটের গতি হবে ১টিবিপিএস।
নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা চীনের তিনটি মোবাইল সংস্থা বর্তমানে সিক্স জি নিয়ে কাজ করছে। ফাইভ-জিতে তিনটি সুবিধা দৃশ্যমান রয়েছে: প্রথমত বড় ব্যান্ডউইথড সুবিধা, দ্বিতীয়ত দ্রুত কার্য সম্পাদন এবং তৃতীয়ত বিস্তৃত সংযোগ। তবে সিক্স-জিতে ইন্টানেটের গতি ১ টিবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। এর অর্থ হলো আপনি এক সেকেন্ডে ১০০ টি সিনেমা ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে ইংল্যান্ডের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেন ফাইভ-জিতে কেবল ল্যাবরেটরির মধ্যে এমন ইন্টারনেটের গতি পাওয়া যায়।
চীনা প্রযুক্তিবিদরা আশা করেন, যেহেতু ফাইভ জি নেটওয়ার্কের দিক থেকেও চীন বিশ্বের মধ্যে এগিয়ে আছে, সেহেতু চীন আগামী বছর থেকে ব্যাপক ভাবে সিক্স জি নিয়ে কাজ শুরু করবে এবং ২০৩০ সালে তারা বাণিজ্যিকভাবে সিক্স জি সেবা দিতে পারবে।