দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ পথ হলো হাঁটা। হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব। তাই অনেকেই নিয়মিত হাঁটেন। তবে এজন্য কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা জানা আপনার একান্ত দরকার।
নিয়ম না মানার কারণে ওজন না কমায় অনেকেই অভিযোগ করেন, এতে নাকি মোটেও ওজন কমে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, যদি সঠিক নিয়মে হাঁটেন তাহলে আপনার ওজন কমতে বাধ্য। এটা দারুণ একটি ব্যায়াম। এর জন্য কিছু নিয়ম আপনাকে পালন করতে হবে। যা আজ আপনি শিখে নিন।
প্রতিদিন ৩ বার ২০ মিনিট করে হাঁটুন
প্রতিদিন আপনি যেমন তিন বেলা খান, ঠিক তেমনি তিন বেলা হাঁটতেও হবে। প্রতিবার অন্তত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একটানা ৪৫ মিনিট হাঁটার চেয়ে ২০ মিনিট করে অন্তত তিন বার হাঁটা অনেক বেশি উপকার।
প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার পদক্ষেপ
আপনি স্মার্টফোনের ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করুন। ‘ম্যাপমাইওয়াক’ কিংবা অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন কতো পা হাঁটছেন সেটি গণনা করা যায়। ওজন কমাতে হলে নিয়মিত ১৫ হাজার পা আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এতে অনেক বেশি মনে হতে পারে। তবে হাঁটতে গেলেই দেখবেন এটি মোটেও কঠিন কাজ নয়। আপনি স্বাবলীলভাবে পা ফেলুন। এই পরিমাণ পদক্ষেপ নিতে আপনার তেমন কোনো ক্লান্তি আসবে না।
ওপরের দিকে ওঠা-নামা
চড়াইয়ের দিকে হাঁটলে সেটি অনেক বেশি কাজে লাগে। এতে অবশ্য দ্রুত হয়রান হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে এতে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে। পাহাড়ের ঢাল বেড়ে কিংবা ওপরের দিকে উঠলে পেশিও অনেক সুগঠিত হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, একটি সমানের দিকে ঝুঁকে আপনি ধীরে ধীরে চড়াইয়ের দিকে উঠতে থাকুন।
বিশ্রাম নেওয়া
কোনো কাজেই একঘেয়েমি কখনও ভালো লাগে না। এছাড়া ব্যায়ামের ফাঁকে বিশ্রামও দরকার। তাই ৫-১০ মিনিট হাঁটার পর এক মিনিটের জন্য হলেও বিরতি নিতে পারেন। এতে করে দেহে শক্তি ফিরে আসবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণ পানি নিয়মিত খেলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হবে। প্রতিদিন ১.৫ লিটার পানি পান করলে বছরে আপনার ১৭৪০০ ক্যালোরি ক্ষয়ে যাবে।
ওজনের ব্যায়াম
সম্ভব বলে কিছু ওজন তোলার ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে বাড়তি শক্তি আসবে দেহে। এতে করে আপনি আরও বেশি বেশি হাঁটতে পারবেন। পারলে কিছু বাড়তি ব্যায়াম করতে পারেন।
চিনিপূর্ণ পানীয় ত্যাগ করুন
অনেকেই মনে করেন যে, চিনিপূর্ণ পানীয় মনে হয় দেহে বাড়তি শক্তি দেয়। তাই ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে চিনি খাওয়া দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য হরো, মধ্যম মানের ব্যায়ামে এমন কোনো পানীয় দরকার নেই। যদি গ্রহণ করেন তাহলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
গ্রিন টি পান করা
সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়া বাড়তি ক্যালোরি ঝরানোর ক্ষেত্রে সঠিক একটি উপায়। এই কাজটি ঠিকঠাক করে গ্রিন টি। ক্যাফেইন ও ক্যাটাচিন্সের সঠিক সমন্বয় ফ্যাট পোড়ানোর জন্য এটি বেশ উপকারী। তাই হাঁটার সঙ্গে গ্রিন টি এর সঠিক ব্যবহার আপনি সহজেই ঘটাতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।