দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রেনের ভেতর ভুল করে গয়নাভর্তি ব্যাগ ফেলে যান দুই যাত্রী। গয়নাভর্তি ব্যাগ ছুঁয়ে দেখলো না কেও! কিন্তু কেনো? কারণ সবাই ভেবেছিলো ওই ব্যাগে হয়তো বোম আছে!
ট্রেনের ওই যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর পড়ে থাকা ব্যাগের মালিকের খোঁজ না পাওয়ায় অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাগে বোমা রয়েছে এমন ভেবে সেটি কেও ছুঁয়ে দেখার সাহস করেননি। অবশেষে ওই ব্যাগে হাত লাগায় পুলিশ। তাদের সাহায্যেই পরে গয়নাসহ ব্যাগটি ফেরত পেয়েছেন ব্যাগের আসল মালিক। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
স্থানীয় রেল পুলিশ জানিয়েছে যে, চিকিৎসক প্রবীর বাগ এবং তার স্ত্রী সীমা বিশ্বাস সম্প্রতি নৈহাটি হতে গেদে লোকাল ট্রেনে করে চাকদহের বাড়িতে ফিরছিলেন। অতিরিক্ত ভিড় থাকায় তারা তখন ভেন্ডার কামরায় উঠতে বাধ্য হন। চাকদহ স্টেশনে পৌঁছানোর পর দুজনই সেখানে নেমে যান। তবে ভুলে যান সঙ্গে থাকা ব্যাগটি নিতে। ওই ব্যাগের মধ্যেই ছিল মূল্যবান গয়নাগুলো।
পরে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা দেখেন যে, ট্রেনের মধ্যে পড়ে রয়েছে মালিকবিহীন একটি ব্যাগ। পূজার মৌসুমে নাশকতার ছকে কেও তা রেখে গেছে ভেবে হইচই শুরু করে দেন যাত্রীরা। বোমা আতঙ্কে অনেকেই অন্য কামরাতে চলে যান। গেদে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের অভিযোগে ব্যাগটি নামিয়ে নেয় গেদের রেল পুলিশ। ব্যাগ খুলে তারা দেখতে পান, এর ভেতরে রয়েছে দুটি সোনার হার, আংটি, দুল, সোনায় মোড়া শাখা, পলা, মোবাইল ফোনসহ নানা জিনিসপত্র। পুলিশ বলেছে, ওই ব্যাগে অন্তত সাড়ে ৭ লাখ রুপি সমমূল্যের সামগ্রী ছিল।
এদিকে হারানো ব্যাগের কথা মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটাছুটি শুরু করেন প্রবীর বাগ এবং সীমা বিশ্বাস। প্রবীর কোচবিহারের মাথাভাঙা হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার স্ত্রী কালনা হাসপাতালের নার্স। দুজনে নবমীর দিন দুপুরে নৈহাটি থেকে লোকাল ট্রেনে চড়েন এবং নামার সময় ব্যাগটি ফেলে আসেন। সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তাদের সব মালামালসহ ব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন রেল পুলিশের (গেদে) ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।