দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যামসাংয়ের ফ্যান এডিশন (এফই) নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে ফিসফাস—ফ্যানদের জন্য নতুন কি আনছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি? ধারণা করা হচ্ছে, এই জল্পনা-কল্পনা গ্যালাক্সি এস২৪ এফই ডিভাইসকে ঘিরেই।
দেশের স্মার্টফোনপ্রেমীরাও শুরু করে দিয়েছেন কাউন্টডাউন, বিরাজ করছে নতুন চমকের উদ্দীপনা! সবাই আশা করছেন, শীঘ্রই বাংলাদেশের বাজারে ডিভাইসটি নিয়ে আসবে স্যামসাং। এমন কী রয়েছে এই এফই সিরিজের স্মার্টফোনে, যা ঘিরে জমছে উৎসাহের বরফ?
চলুন জেনে নিই, এই ফোনে এমন বিশেষ কী আছে, যার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে!
এফই বলার কারণ কী?
এফই ফ্যান এডিশনেরই বহুল প্রচলিত এবং সংক্ষিপ্ত রূপ। সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রেতাদের নাগালে ফ্ল্যাগশিপের মতো ফিচারসহ ডিভাইস নিয়ে আসতেই স্যামসাংয়ের এ আয়োজন। বিশেষ করে, ফ্যানদের জন্য স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম গ্যালাক্সি মডেলগুলোর সাশ্রয়ী ভার্সন নিয়ে আসাই এর উদ্দেশ্য। যে কারণে, খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রিমিয়াম ডিভাইসের প্রায় সকল ফিচার থাকায় এফই সিরিজের স্মার্টফোনে রয়েছে দাম আর পারফরমেন্সের দারুণ সমন্বয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিবারই নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করে স্যামসাং। সেই ধারাবাহিকতায়, এবার গ্যালাক্সি এস২৪ এফই’র মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)।
এফই সিরিজে বিশেষ কী রয়েছে?
ইতিপূর্বেও এফই সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আসার সাথে সাথেই তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। মুহূর্তেই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল এই সিরিজের ডিভাইসের বিশেষত্ব। স্যামসাংয়ের এফই সিরিজে এবার বিশেষ কী থাকছে:
সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাগশিপের ফিচার
স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলোর অত্যাধুনিক ডিসপ্লে, অনবদ্য ক্যামেরা আর দুর্দান্ত প্রসেসর; সবই অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে রয়েছে এই এফই সিরিজের ডিভাইসে। ঠিক যেনো অতিরিক্ত কোনো পয়সা খরচ না করেই বিমানের ইকোনোমি থেকে বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেডেশন!
অনন্য ডিসপ্লে ও ডিজাইন
গেমার বা নানা কারণে দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করতে হয় এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এফই সিরিজের ডিভাইসগুলো যথার্থ। বেশিরভাগ এফই স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতেই ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, কোনো কনটেন্ট দেখা হোক বা বন্ধুদের সাথে কোনো গেমে মেতে থাকা হোক; স্মুথ ডিসল্পের অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। মনমাতানো নানা রঙের সাথে মিনিমালিস্ট ডিজাইনের সমন্বয় এফই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোকে যেনো আরও মোহনীয় করে তোলে।
ব্যাটারি চলবে সারাদিন
কোনো ভিডিও কনটেন্ট দেখা হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে গেমস খেলা হোক; বেশিক্ষণ যাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাদের ঘন ঘন চার্জ দেয়ার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। এফই সিরিজের ডিভাইস মানেই যেন দীর্ঘসময় চার্জ থাকার নিশ্চয়তা।
এবার এতো আগ্রহ কেন?
স্যামসাং এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এফই সিরিজের নতুন ডিভাইস নিয়ে আসার ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই মানুষের মাঝে প্রবল উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, এবারের এফই সিরিজের নতুন স্মার্টফোনে স্যামসাং এআইয়ের সর্বাধুনিক সব ফিচার থাকবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে এবার স্মার্টফোনের সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে ট্রান্সলেশন, ইন্টারপ্রেটেশন সব জায়গাতেই এআই কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ পারফরমেন্স নিশ্চিত করা যাবে। সাশ্রয়ী মূল্যের এফই সিরিজের ডিভাইসে থাকছে সর্বাধুনিক চিপ, এআই-সমৃদ্ধ ক্যামেরা, প্রিমিয়াম অথচ মিনিমালিস্ট ডিজাইন; এতো সব কিছুর পরও মানুষ কেন উৎসাহী হয়ে উঠবে না!
এফই সিরিজের ফোন কাদের কাজে লাগবে?
বেশিক্ষণ ডিভাইস ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে এমন কর্মঠ ও স্বপ্নবাজদের জন্য এফই সিরিজের স্মার্টফোনটি উপযোগী হবে। দীর্ঘসময় বাইরে থাকা লাগে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় দিতে হয়, ফোনটি যেন তাদের জন্যই। ডিভাইসটি তাদের ভালো লাগবে যারা নতুন প্রযুক্তির সাথে দ্রুত পরিচিত হতে ভালোবাসেন। ভিডিও কনটেন্ট দেখা বা গেম খেলার সময় ডিভাইস স্লো হয়ে যাওয়া যারা একদম সহ্য করতে পারেন না, তাদের জন্য ফোনটির অনন্য ডিসপ্লে ও দুর্দান্ত পারফরমেন্স একদম যথার্থ হবে। শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাজীবী যাদের পড়াশোনা বা কাজের বেশিরভাগই স্মার্টফোনে করতে হয়, তাদের জন্য অত্যাধুনিক এই ডিভাইসটি অনেক বেশি কার্যকর হবে। বিগত বছরগুলোতে আমাদের ভাবনার জগতকে আরও বিকশিত করতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এআই। আর স্যামসাংয়ের সর্বশেষ নিয়ে আসা এই এফই সিরিজের ডিভাইসে এআই ফিচারের সময়োপযোগী ব্যবহার স্মার্টফোনের পুরো অভিজ্ঞতাকেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
অপেক্ষার পালা ফুরাবে কখন?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অনবদ্য এই এফই সিরিজের নতুন স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের বাজারে কবে থেকে পাওয়া যাবে? রিলিজের তারিখ যথাযথভাবে জানা না গেলেও, ধারণা করা যাচ্ছে নভেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষেরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে স্যামসাং ভালোবাসেন এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন। আর এই এফই সিরিজের স্মার্টফোনে নিজেদের জীবনমান সমৃদ্ধ রেখেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পাবেন তরুণ বাংলাদেশিরা। বৈশ্বিক উন্মোচনের পর ডিভাইসটি এর আপগ্রেডের জন্য ব্যবহারকারী এবং প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। ফলে, খুব সহজেই এ কথা বলা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশেও বিষয়টি নিয়ে উদ্দীপনার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
পাশের দোকানটিতে কবে থেকে নতুন গ্যালাক্সি এস২৪ এফই স্মার্টফোন পাওয়া যাবে, জানতে কেবল অপেক্ষার পালা!
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org