দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীফুল রাজ অভিনীত থ্রিলার গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘ইনসাফ’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদুল আজহায়। নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের নতুন এই সিনেমাটি নিয়ে টিজার প্রকাশের পর হতেই দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ৮২ সেকেন্ডের টিজারে অভিনেতা শরীফুল রাজ রীতিমতো ঝড় তুলেছেন।

শরীফুল রাজ আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি আছেন, এবং আগের চেয়ে আরও শক্তিশালীভাবেই। নিজেকে ভেঙেচুরে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এবার ‘ইনসাফ’ সিনেমায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা টিজারে দেখা যায় যে, এক সময়ের ত্রাস ডন ইউসুফ হয়তো আবার ফিরে এসেছেন। আজব সব চরিত্রকে খুন করার পর সে দুধ দিয়ে গোসল করেন যে। কুখ্যাত এই খুনি ইউসুফকে দেখা যায়, কুড়াল হাতে মানুষকে হত্যা করতে। হাতে কুড়াল, মুখে জ্বলন্ত সিগারেট ও চোখেমুখে প্রতিশোধের নেশা- এই ইউসুফ কোনো সাধারণ মানসিকতার মানুষ নয়।
এই সময় এক ঝলকে দেখা যায় এই সিনেমার নায়িকাকেও। জঙ্গলের ভেতর খুন করার সময় কুড়ালের কোপে ফিনকি দিয়ে বের হওয়া রক্ত গিয়ে পড়ে তারই মুখে।
এই দুর্ধর্ষ ইউসুফের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ ও তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে রয়েছেন টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
সব মিলিয়ে ভিন্ন এক গল্পে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘ইনসাফ’। টিজারের শেষে চমকে দেন আরেক অভিনেতা মোশাররফ করিম। মেডিকেলের পরিবেশে ভয়ঙ্কর এক রূপে, চোখে চশমা, হাতে শর্টগান নিয়ে তিনি বলেন, “আমি অমানুষ মারি, মানুষ মারি না।’
সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইনসাফ’ মুক্তি পাচ্ছে এই ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org