ঢাকা টাইমস ডেস্ক ॥ প্রতি সপ্তাহের মতো আজও আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মজার মজার খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরবো- আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত এয়ারপোর্ট
মাডেরা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট পর্তুগালের ফুনচাল এলাকায় অবস্থিত। ১৯৬৪ সালে এই এয়ারপোর্টটি তৈরি করা হয়। এটি যখন প্রথম তৈরি করা হয় তখন এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ১৬০০ মিটার। যা মাঝারি ধরনের প্লেনের জন্যও অনেক ছোট। রানওয়ের দৈর্ঘ্য কম হওয়ার কারণে ১৯৭৭ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় কবলিত হয় এবং এতে ১৩১ জন আরোহী প্রাণ হারায়। এই দুর্ঘটনায় পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। ৮ বছরে এয়ারপোর্টটির রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার বাড়ানো হয়। ২০০০ সালের মধ্যে এটার রানওয়ে লম্বায় আগের দ্বিগুণ করা হয়। তবে মজার ব্যাপার হল এই লম্বায় বাড়ানোর জন্য কোন মাটি ব্যবহার করা হয়নি। শুধু পিলারের উপর ক্রংক্রিট দিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। মোট ১৮০টা কংক্রিট পিলার দেয়া হয়। আর প্রত্যেকটা পিলার ২২০ ফিট উচু করে বানানো হয়েছে। আর তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে রানওয়ের অতিরিক্ত দৈর্ঘ্যটুকু। এই অপুর্ব নির্মাণ কাজের জন্য ২০০৪ সালে এটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিজ অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ইৎরফমব ধহফ ঝঃৎঁপঃঁৎধষ ঊহমরহববৎরহম) এর পুরস্কার লাভ করে।
নির্ঘুম ১১৭০০ রাত
৬৪ বছর বয়সী থাই এনজোক (ঞযধর ঘমড়প) পেশায় একজন কৃষক। তিনি না ঘুমিয়ে স্বাভাভিকভাবে থাকতে পারেন। ১৭৭৩ সালে তিনি কঠিন অসুখে পতিত হোন। তারপর থেকে তিনি ১১৭০০ রাত না ঘুমিয়ে কাটান। তিনি বলেন, এতে স্বাভাবিক কাজকর্মে তার কোন রকম অসুবিধা হয় না।
এরোপ্লেন খাওয়া মানুষ!
মানুষটির নাম মাইকেল লোটিটো (গরপযবষ খড়ঃরঃড়) এই ব্যক্তি এমনই এক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা সচরাচর কারো মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না। এমন কোন জিনিস নেই যা তিনি খেতে পারেন না। সর্বভুক ব্যক্তি তিনি। যে কোন ধাতব পদার্থ থেকে শুরু করে রাবার, কাচ সব কিছুই তিনি খেতে পারেন। গড়ে তিনি প্রতিদিন এক কিলোগ্রাম করে ধাতব পদার্থ খেয়ে থাকেন। তিনি দুই বছর ধরে একটি পরিত্যক্ত এরোপ্লেনও খেয়ে ফেলেছেন। আর আস্ত সাইকেল খেয়ে ফেলা তার নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। ছোটকাল থেকেই তিনি তার এই অভ্যাস লক্ষ করেন। তবে ব্যাপারটি জনসম্মুখে প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে। তিনি বলেছেন, এতে তার হজম বা শারীরিক অন্য কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন তিনি কখনও হননি।
চোখের পানি দিয়ে লেখা
৫৬ বছর বয়সী রু আনটিং (জঁ অহঃরহম) চীন দেশের নাগরিক। অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তিনি। সরাসরি চোখ থেকে চোখের পানি দিয়ে তিনি লিখতে পারেন। তিনি প্রথমে নাক দিয়ে পানি টেনে নেন। তারপর তা চোখ দিয়ে নিক্ষেপ করে লেখেন। ছোটকালে সাঁতার কাটার সময় তিনি সর্বপ্রথম তার এই ক্ষমতাটা লক্ষ করেন।