দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক ॥ প্রতি সপ্তাহের মতো আজও আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মজার মজার খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরবো- আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেমেঞ্চো বাস্তবে আর বিশ্বাসে গড়া এক মিথ। এ মেমেঞ্চোকে দেখা যায় দুই পাহাড়ের ভাঁজের মাঝখানে, অনেকটা দূর থেকে। সিকিমের পাহাড়ি মানুষদের কাছে মেমেঞ্চো ‘পবিত্র জলাশয়’, এই নামের মানে নাকি ‘মেডিসিনাল ওয়াটার’, এই জলাশয় বেশ বড় এবং খুব নির্জন। সিকিমের পাহাড়ি লোকেরা মেমেঞ্চোর মতো আরও অনেক জলাশয় ও পুকুর রক্ষা করে চলেছেন পবিত্র জলাশয় মনে করে। পবিত্র জলাশয়ের গুণাগুণ সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে পাহাড়ি লোকেরা জানেন। মেমেঞ্চোকে নিয়ে ভারি সুন্দর গল্প আছে। পাহাড়িরা মনে করে, মেমেঞ্চো আর কুপুপ নাকি ছিল স্বামী-স্ত্রী। তাদের মধ্যে একজনের প্রণয় হয় এক পর্বত চূড়ার সঙ্গে। দুঃখে, অভিমানে অন্যজন তাই দূরে চলে যায়। মেমেঞ্চোর কাছে যেতে সেনাবাহিনীর অনুমতি লাগে। অনুমতি পাওয়াও কঠিন। কারণ হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে পড়লে ওখান থেকে দিনে দিনে ফেরা যায় না। আর এ অঞ্চলে সিভিলিয়ানদের রাত্রিযাপন তো নিষিদ্ধ। এর কাছেই মেরাথং হ্রদের পাড়ে প্রকাণ্ড উঁচু নীল শেড দেওয়া বাঁধানো হাটতলা আছে। সারাবছর এখানে থাকে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা। এ এক অসামান্য হাট। এখানে সপ্তাহে তিনবার তিব্বত থেকে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মালপত্র নিয়ে আসেন, তিনদিন সিকিমের লোকজন যান সীমান্তের ওপারে। এসব ঘটে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। এখানে পাইকারি কেনাবেচা অবশ্য সাধারণ জনসাধারণের জন্য নয়। তবু রোমাঞ্চকর। এই বরফ প্রান্তরে, আকাশের কাছাকাছি এই হাট। শেরা থাং জায়গাটা বেশ বড়। রাস্তা গিয়েছে তার দুটি দিক ঘেঁষে। এ পথ পার হতে গাড়িতে লাগে প্রায় আধঘণ্টা। বছরের ছয় মাস এখানে হ্রদের দুই-তৃতীয়াংশ বরফে ঢাকা থাকে। তার নিচে যেখানে-যেখানে মাটি থেকে পানি উঠছে সেসব জায়গায় বরফের ওপর জাপানি পাখার নকশায় চিড় খেয়ে আছে বরফ। পানির এই এক মজা। বাকি প্রায় সব তরল জমতে শুরু করে তলার দিক থেকে, কেবল পানি জমাট বাঁধে ওপর থেকে। ওপরের দশ-পনেরো মিটার পুরু বরফের আস্তরণের নিচে স্বচ্ছ প্রায় পানিতে খেলা করে মাছের ঝাঁক। শুধু তাই নয়, এখানে তিন দিকের উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে অনবরত নেমে আসছে জলধারা। প্রতিটি মুহূর্তে শোনা যায়, পানি বয়ে যাওয়ার কোথাও ঝুমঝুম, কোথাও কলকল শব্দ। প্রচণ্ড শীত কেটে গেলে কঠিন বরফ গলাতে শুরু করে নানা জায়গার জলাশয়ের। ঠিক তখনি ছোটবড় জলের ধারা দৌড়ে নামে কাছাকাছি নিচু জায়গার দিকে, সেখানে জল জমে তৈরি হয় নানান ছোট-বড় হ্রদ। এসবই সিকিমের পাহাড়ি মানুষের কাছে পবিত্র জলাশয়, কেউ বা মনে করেন, এর পানি পান করলে যে কোনও রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। মেমেঞ্চোর প্রিয়তম কুপুপ ছোট জনপদ। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি পবিত্র জলাশয়। একটা ডাকঘর আছে কুপুপ-এ। এই ডাকঘরটা বহুদিন ধরে বন্ধ। লোকে বলে ওই ডাকঘরটা খুলেছিল কেবল একদিন, প্রতিষ্ঠার দিনে। এখানে পাশাপাশি যে দুটি হ্রদ রয়েছে, এর একটি বড় হ্রদ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এর কিছু দূরে গিয়েই শুরু হয়েছে জলে ঢাকা নদী। কুপুপ আর মেমেঞ্চোতে রয়েছে শত শত গাছ। এখানকার মানুষের কাছে এসব গাছ শত শত বছরের সাথী- সবই তাদের কাছে পবিত্র। সে জন্য এখানকার লোকজন গাছ কাটে না। গুরাস নামে এক জাতীয় গাছ রয়েছে এখানে। সিকিমের পাহাড়ি লোকরা জানেন, কোন পাখি, কোন পশু, কোন কোন কীটপতঙ্গ কীভাবে নির্ভর করে গুরাস গাছের ওপর। আবার গুরাসের বাড়বৃদ্ধি তার বিশেষ বছরের ফুল ফোটার ধরন দেখে এরা আবহাওয়া আন্দাজ করতে পারেন। এখানকার বৃদ্ধারা পাহাড়কেও পবিত্র মনে করেন। খেলাচ্ছলে নিজের হাতের মুঠোর সমান এক টুকরো পাথর কেউ পাহাড়ের গায়ে ছুড়ে মারলে বৃদ্ধরা তাকে ভর্ৎসনা করেন। তারা বলেন, এ রকম করো না, পাহাড়ের গায়ে পাথর ছুড়লে ওটা আরেকটাকে ধাক্কা মারবে। তারপর আরও চারটাকে, অমনি করে বড় ল্যান্ডস্লাইড হয়ে যেতে পারে। নিচে যে গ্রামটা পাথরচাপা পড়বে সে জানবে না যে কেন চাপা পড়ল। তাই পাহাড়ের সঙ্গে ওরকম করতে হয় না। এ জন্য তোমার অমঙ্গল হবে।
পানির নিচে ক্লিওপেট্রার রাজপ্রাসাদ
পিরামিড ও ফারাওদের রহস্যময় দেশ ইজিপ্ট বা মিশর। এই দেশের আলোকজান্দ্রিয়া শহরের বন্দরের নিচে সমুদ্রের ভেতরে এক অত্যন্ত প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। টলেমি বংশের পৃথিবীখ্যাত শেষ রানী ক্লিওপেট্রা সেখানে রাজত্ব করতেন বলে মনে করা হয়। ঐতিহাসিকদের বিশ্বাস, ১৬০০ বছর আগে ভূমিকম্প আর সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে ক্লিওপেট্রার রাজপ্রাসাদ পানির তলায় ডুবে গিয়েছিল। ফরাসি ব্যবসায়ী ও পুরাতত্ত্ববিদ ফ্রাঁ গোদিওর নেতৃত্বে ফরাসি ও মিশরীয়দের একটি দল এই শহরটি আবিষ্কার করে। বন্দরটির পূর্বভাগে সমুদ্রের তলায় আধ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে রাস্তা, জেটি, স্ফিংক্সের মূর্তি, স্তম্ভ ইত্যাদি রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অ্যান্টিরোডাস দ্বীপেই ছিল রানীর ঐশ্বর্যময় প্রাসাদ। গ্রিস ও রোমের প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন পাওয়া গেছে এখানে। তার মধ্যে গ্রিক লিপি খোদাই করা লাল গ্র্যানাইট পাথরের তৈরি একটি স্তম্ভ খুবই উল্লেখযোগ্য। ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সুন্দরী ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করার পর থেকেই এই প্রাসাদটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ৩৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে শহরটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত কিন্তু শহরের বাকি অংশে লোকজন বসবাস করত। পানি এখানে মাত্র ১২ থেকে ২১ ফুট গভীর।
এই শহর থেকে দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছিল, যার একটি দেবী আইসিসের পুরোহিত ও অন্যটি হল ক্লিওপেট্রার বাবা দ্বাদশ টলেমির মূর্তি। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এদের আবার স্বস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, সরকারিভাবে খুব শিগ্গিরই এটিকে ‘আন্ডারওয়ারটার আর্কিওলজিক্যাল পার্ক’ হিসেবে সকলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা। তখন সেখানে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই নিজের চোখে রানীর প্রাসাদ দেখে আসতে পারবেন।
পাহাড়ি গ্রাম জারমট
সর্বত্রই পাহাড়, এমনি একটি গ্রামের নাম জারমট। যিনি এখানে আসেন, তিনিই বলেন জারমট একটা ফুটফুটে সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। এর হাওয়ায় কোনও দূষণ নেই। এখানকার সব গাড়িই হয় ঘোড়ায় টানা, নয়তো বিদ্যুৎচালিত। থাকার জন্য আছে ছোটখাটো হোটেল আর পুষ্পসজ্জিত শ্যালে। খাবার দোকানও রয়েছে অনেক, কিন্তু সব কিছুরই দাম প্রবল। প্রচুর পর্যটক আসেন জারমটে। সুইজারল্যান্ডের এক গ্রাম এই জারমট। বার্ন শহর থেকে ট্রেনে এখানে আসা যায়। গ্রামের দু’পাশে ঘন সবুজ পাহাড়। আর পাহাড়ের ঢালে রয়েছে কাঠের ছোট ছোট বাড়িঘর। এসব বাড়ির বারান্দায় আর জানালায় থাকে গোছা গোছা লাল-গোলাপি-বেগুনি-সাদাফুল। একটু দূরে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যায় তুষার জড়ানো কালো পাহাড়। এই পাহাড়ি গাঁয়ের একদিকে রয়েছে নদী। ঝরঝরিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। পথের দু’পাশে মাঝে মধ্যেই এসে পড়েছে আশ্চর্য সব ঝরনা। জারমট ছাড়িয়ে এই পথের শেষ স্টেশন গরনার গ্রাট, সেখান থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে স্পষ্ট দেখা যায় মাঠেরহর্নসহ আল্পস পর্বতের আরও অনেক সৃঙ্গ। এ পথের ট্রেনে যে কোনও স্টেশনে নেমে পড়ে, যতটা ইচ্ছে সময় কাটিয়ে আবার উঠে পড়া যায় পরের ট্রেনে। কেউ বা পায়ে হেঁটে চলে যায় পরের স্টেশন। গরনার গ্রাটে পৌঁছনোর আগেই চোখে পড়বে মাটেরহর্ন বিশাল কালো শৃঙ্গের ওপর সাদা তুষারের পুরু আস্তরণ। এখানে পর্যটন টাওয়ারও আছে, সেখানে উঠে যাওয়া যায়। কিংবা হাঁটতে হাঁটতে আগের স্টেশনে ফিরে যাওয়া যায়। অথবা পাহাড় চূড়ার দিকে চেয়ে স্রেফ বসে থাকা যায়। জারমট গ্রাম হয়ে যাওয়া ট্রেনের গায়ে লেখা থাকে এসবিব সিএফএফ এফএফএস রেল কোম্পানির নামের আদ্যক্ষর যথাক্রমে জার্মান, ফরাসি আর ইতালিয়ান ভাষায়। তবে এই ঘোষণার ভাষার ক্রম পাল্টাতে থাকে জায়গাটার অধিবাসীদের ভাষা অনুযায়ী। ‘মন্ত্রো’ নামের শহরে ট্রেন এলে ঘোষণা শুরু হয় ফরাসি ভাষাতে। জারমট হয়েই যাওয়া যায় লোসান শহরে। এই লোসান শহরে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তোরাঁ-বার কত কি। শহরটা একটা পাহাড়ের ঢালের ওপর। রেলস্টেশনটা ঢালের উঁচু স্থানে। আর সেখান থেকে লোসান শহর নেমে গেছে সোজা হ্রদের দিকে। এখানে এলে বোঝা যায় না এটা হ্রদ, না সমুদ্র। সুইজারল্যান্ড দেশটা খুবই ছোট হলেও এ দেশের পরিবহন ব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে পাস থাকলে কোনও বিদেশির পক্ষে সারাদিন ঘুরে বেড়ানো কোনও ব্যাপারই নয়। ট্রেনের সময়গুলোও এমন বুদ্ধি-বিবেচনা করে ঠিক করা যে টাইমটেবল বয়ে বেড়ানোরও দরকার হয় না। একটা নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে কোনও নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেন ছাড়ে প্রতি ঘণ্টার একই মিনিটে। অর্থাৎ পরের গন্তব্য ঠিক করা থাকলে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার আগে কেবল দেখে নিতে হবে সেখানে যাওয়ার ট্রেন ঘণ্টায় কতগুলো আছে এবং কখন কখন। সুইজারল্যান্ডে ট্রেন চলে ঘড়ির কাঁটা ধরে, কোনও ট্রেন ফাঁকা নয়, আবার বসার জায়গারও অভাব নেই। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডের শহর নয়, গ্রামগুলোও উন্নত। গ্রামেও রয়েছে হোটেল, সেখানে রাতযাপন করা যায়। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী হল ‘বার্ন’, এর আশপাশে রয়েছে বিশাল হ্রদ। এখানেই আছে আইনস্টাইনের বাড়ি, বিখ্যাত ক্লক টাওয়ার, হরেক রকম দোকানপাট। বার্নের হোটেলের ঘর থেকে দেখা যায় ফুল ও সূর্যমুখী ক্ষেতের দৃশ্যও। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সুইজারল্যান্ডের শহরগুলোতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা মেলে গ্রামগুলোতেও তাই। গ্রামগুলোও আধুনিক।
বিপদের মুখে পেঙ্গুইন
পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে পেঙ্গুইনরা বিপদের মুখোমুখি। পেঙ্গুইনের যত প্রজাতি আছে তার মধ্যে এম্পারর পেঙ্গুইন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। সাদা আর কালো পালকের মোড়কে এদের সত্যি সত্যি রাজকীয় মনে হয়। যেন বা কালো কোটপরা ভদ্রলোক। কিন্তু বর্তমানে এই অভিজাত ভদ্রলোকরাও পড়েছে বড় মুশকিলে। ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়েছে পেঙ্গুইনরা। আর বিপদ হল দক্ষিণ মেরুতে হিমবাহের ভাঙন। দক্ষিণ মেরুর নির্জন হিমবাহ অঞ্চলে বসবাস করে পেঙ্গুইনের বিভিন্ন প্রজাতি। তার মধ্যে এম্পারর পেঙ্গুইনই সেরা এবং এরাই এবার বিপদে পড়েছে বেশি। হিমবাহ ভাঙনের ফলে এদের বাসভূমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে তাদের খাবার জোগাড়ের জায়গাগুলো। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ মেরুর পরিবেশও উষ্ণ হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। ফলে পাতলা হয়ে আসছে বরফের স্তর। আর তাই প্রাণিবিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পেঙ্গুইনদের আসন্ন বিপদ দেখে। তার ওপর রয়েছে মার্টজ টং হিমবাহের ভাঙন। ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৯ কিলোমিটার প্রস্থের এই বিশাল হিমবাহের উপরেই মূলত এম্পারর পেঙ্গুইনদের বিচরণ ক্ষেত্র। গত বছর বি নাইন বি নামের একটি হিমবাহের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মার্টজ টং হিমবাহের পূর্বাংশটি ভেঙে গেছে। এ কারণে দক্ষিণ মেরুর বড়রকম ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটবে বলে বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন। তাদের আরও আশংকা সামুদ্রিক এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণ যে অ্যালগি বা শৈবাল জন্মে তা হিমবাহ ভাঙনের ফলে বরফে ঢেকে যেতে পারে। পেঙ্গুইনদের বাসস্থান দুই-তিনশ কিলোমিটার দূরে হলেও খাবারের সন্ধানে তারা এখানে আসে। শুধু তাই নয়, খোলা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে আসে অনেক সিলও। এখন যদি এই জায়গা বরফে ঢাকা পড়ে তাহলে পেঙ্গুইনরা হয়ে পড়বে বিপন্ন। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তারা হয়ত পাড়ি জমাবে অন্য কোথাও অন্য কোনওখানে।