ঢাকা টাইমস ডেস্ক ॥ প্রতি সপ্তাহের মতো আজও আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মজার মজার খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরবো- আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ফের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে পাকিস্তান
চলতি মাসের শেষনাগাদ ফের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে পাকিস্তান। দেশটির জিয়ো নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নসর’ নামের ভূমি থেকে ভূমিতে ছোড়ার এই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। লক্ষ্যভেদে এটির উচ্চপর্যায়ের সক্ষমতা রয়েছে। সূত্র জানায়, এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সেনাবাহিনী। ২৫ এপ্রিল পাকিস্তান মাঝারি পাল্লার একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। ভারত ৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম পরমাণুবাহী একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই মাঝারি পাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় বৈরী প্রতিবেশী হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই নির্মিত হয়েছে ভারতের আরেক বৈরী প্রতিবেশী হিসেবে খ্যাত চীনের সহায়তায়। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে রাষ্ট্র হিসেবে পৃথক হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও দিল্লি-ইসলামাবাদ টানাপোড়েন কোনভাবেই কমানো যায়নি।
স্যান্ডউইচে কাটা আঙুল ইউএসএ টুডে
স্যান্ডউইচ খেতে গিয়ে তাতে কাটা আঙুল পেয়েছে মিশিগানের এক কিশোর। এ ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট ‘আরবিস’র সুনাম। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ‘ইউএসএ টুডে’র খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মাংস কাটতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের এক কর্মী আঙুল কেটে ফেলে। এরপর ঘটনাচক্রে ওই কাটা আঙুল মাংসের সঙ্গে মিশে যায়। পরে তা পাওয়া যায় ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরের স্যান্ডউইচে। আঙুলটি ছিল প্রায় এক ইঞ্চি লম্বা এবং পৌনে এক ইঞ্চি মোটা। আরবিসে’র মুখপাত্র জন গ্রে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় যার পরনাই বিব্রত। ওই অতিথির কাছেও আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং খাবার তৈরিও বন্ধ থাকে। এরপর স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় রেস্টুরেন্টটি পরিষ্কার করে আবার খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আরবিসের অনেকগুলো শাখা রয়েছে যেগুলোতে ৬৬ হাজার লোক কর্মরত আছে।
যে নদীর মাছ ধরার পরে ছেড়ে দিতে হয়
নামেরির জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া জিয়াভরলি নদীতে র্যাফটিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভালুক পংয়ের কাছেই এ র্যাফটিং পয়েন্ট। এ নদীতে ঢেউ তেমন নেই। তবে মজার ব্যাপার, জিয়াভরলি নদীতে মহাশের গেম অ্যাংগ্লিং হয়। গেম অ্যাংগ্লিং মানে মাছ ধরার পরে তা ছেড়ে দেয়া। যে মাছ ছেড়ে দেয়া হয় তার নাম মহাশের মাছ। এ মাছ ধরে ছেড়ে দেয়ার কারণ হল, এখানের বিলুপ্তির পথে মহাশের মাছ যাতে বিলুপ্ত না হয়ে যায়। মহাশের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া কিংবা খাওয়াও নিষিদ্ধ। নদীর দুই দিকে রয়েছে জঙ্গল আর জঙ্গল। ২০০ বর্গকিলোমিটার এর আয়তন। ঘাস, বাঁশের জঙ্গল, বহু বছরের পুরনো বিশাল বিশাল গাছ, ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আলো-আঁধারি ঝরনার বয়ে চলা আর জিয়াভরলির অপরূপ সৌন্দর্য- সব মিলিয়ে নামেরি এককথায় অসাধারণ। আসামের তেজপুর থেকে এ জঙ্গলের দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। পাখিদের স্বর্গরাজ্য বলা হয় এ নামেরিকে। নাম দেয়া হয়েছে নামেরি ন্যাশনাল পার্ক। আসাম-অরুণাচল সীমান্তে এর অবস্থান। নামেরির জঙ্গল পাখিপ্রেমিকদের অতি প্রিয় জায়গা। পাখিপ্রেমিকরা নিত্যদিন এখানে এসে তাকিয়ে থাকেন, দু’নয়ন ভরে দেখেন কত না প্রজাতির পাখি। কেউ বা তোলেন ছবি। নামেরি জঙ্গলে ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। তারমধ্যে অনেক বিরল প্রজাতির পাখিও আছে। হোয়াইট উইঙ্গড ডাক, মালার্ড, গ্রেট করমোর্যান্ট, ব্লাক বাজা, মারগানজার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ নামেরি জঙ্গলেই বাস করে বাঘ, শূকর, লেপার্ড, ওয়াইল্ড ডগ, ফিশিংক্যাট। সাধারণত দিনের বেলা এ সব জন্তু-জানোয়াররা বাফার থেকে কোর এরিয়ার দিকে চলে গেলেও সকালে আর সন্ধ্যার দিকে দেখা পাওয়া যায় হাতি, গাউর, সম্বর, বার্কিং ডিয়ারের। আদিম এ অরণ্য হেঁটে ঘোরার সময় যখন তখন হাতি, গাউর, বাঘ, লেপার্ড আর বন্য শূকরের রাজত্বে এদের কারও সঙ্গে দেখা হওয়াটাও কিন্তু বিচিত্র কিছু নয়।
অন্য রকম শক্তি
মিরসলো ম্যাগোলা (Miroslaw Magola) নামের এ ব্যক্তি অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এক মেধা ও শক্তির অধিকারী। psycho kinesis শক্তির মাধ্যমে তিনি মাটি থেকে দেহের সাহায্যে কোন বস্তুকে শূন্যে তুলে আনতে পারেন। অত্যন্ত মানসিক শক্তির সাথে তিনি তার ব্যতিক্রমী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন এবং কোন বস্তু বা পাত্রকে না ধরে শুধু দেহ দিয়ে স্পর্শ করে তিনি তা শূন্যে ভাসাতে পারেন।
বিকট হাততালি
৭০ বছর বয়সী ঝাং কুয়ান (Zhang Quan) তার ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্যের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। তিনি হাততালি দিলে তা হেলিকপ্টারের পাখার মতো বিকট শব্দের সৃষ্টি করে। তাই এই হাততালির শব্দে অনেকেই অতীষ্ট। শব্দ দূষণ হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ তাকে সতর্ক করে রেখেছে।
এ কালের টারজান!
নাম তার কেভিন রিচার্ডসন (Kevin Richardson)। তাকে এ যুগের টারজান বললে ভুল হবে না। তিনি অনায়াসে যে কোন হিংস্র প্রাণীর মন জয় করতে পারেন। তার এক ব্যতিক্রমী শক্তি বা বৈশিষ্ট্যের কারণে সিংহ, বাঘ, চিতা এমনকি হায়েনা পর্যন্ত তার বন্ধু হয়ে যায়। কখনও তার দিকে তেড়ে আসে না বা আক্রমণ করে না।