দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যান্ত্রিকতার মাঝে বর্তমানে ফটোগ্রাফারদের জন্য সতেজ একটি প্রাকৃতিক চিত্র পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ব্রুকলিন অধিবাসী জ্যাক সেক্লার বিভিন্ন মহাদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং তার ছোট বিমানটি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানের ছবি তুলেছেন। তিনি ৫০০ ফুট উপর থেকে আফ্রিকার দেশ বৎসোয়ানার বিভিন্ন স্থানের ছবি তুলেছিলেন। সেখান থেকে আজ আমরা পাঠকদের সামনে সাভান্নার অসাধারণ কিছু ছবি তুলে ধরবো।
আফ্রিকার দক্ষিণ দিকের একটি দেশ বৎসোয়ানা। ছোট এই দেশটির আয়তন ২২৪০০০ বর্গ কিলোমিটার। এটি একটি বিরাট অর্ধ-ঊষর মালভূমি, সমুদ্র সমতল থেকে যার গড় উচ্চতা ১,১০০ মিটার। এর জলবায়ু উপক্রান্তীয় এবং এটি প্রায় বৃক্ষহীন সাভানা তৃণভূমিতে আবৃত। এখানে বিভিন্ন ধরনের পশু, বিশেষ করে জেব্রা এবং ফ্ল্যামিংগো বেশি দেখা যায়। এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে কালাহারি মরুভুমি। আর এর মাঝেই অবস্থিত তৃণহীন সাভানা। কালাহারি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের মালভূমিতে অবস্থিত একটি অববাহিকার মত সমতল ভূমি। বৎসোয়ানার প্রায় পুরো অঞ্চল ঘিরেই এর অবস্থান। এছাড়াও সাভানা ঘিরে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় লবণাক্ত সমভূমি যেখানে জন্মে থাকে একধরনের শৈবাল।
জ্যাক সেক্লার ২০০৯ সাল থেকে বৎসোয়ানায় ভ্রমণ শুরু করেন। জ্যাক সেক্লার বলেন,’উড়ার কয়েক মিনিট পর আপনার কাছে অন্যরকম অনুভুতি সৃষ্টি হবে। আকাশ থেকে আপনি সত্যিই পাখির চোখে ভূমিকে কেমন দেখায় তার স্বাদ পাবেন’। সেক্লার একবার উড়ার মাঝে কয়েকটি চমৎকার শট নিয়ে থাকেন তারপর তার ছোট্ট সেসনা বিমানটি নিয়ে ভুমিতে ফিরে আসেন। উপযুক্ত সময় বের করে আবার উড়াল দেন। উপর থেকে এই ছবিগুলোতে আফ্রিকার বন্য প্রাণীগুলো দেখা যায় একেবারে ছোট আকারে কিন্তু পুরো ল্যান্ডস্কেপের চিত্রসহ এই ছবিগুলো এক অসাধারণ চিত্রকলা। সেক্লার প্রায় হাজারখানিক ছবি তুলেছেন এই বৎসোয়ানার। আফ্রিকার সুবিশাল বনভুমি আর সবুজ প্রান্তর এমনিতেই ফটোগ্রাফারদের কাছে স্বর্গভূমি।
জ্যাক সেক্লার ২০০৩ সালে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করে। ২০০৮ সালে তিনি ফটোজার্নালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বর্তমানে আফ্রিকার বৎসোয়ানা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। এখানে ছবি তোলার জন্য তার নিজস্ব একটি সেসনা প্লেন রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ সিএনএন