দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির রায় ঘোষণা করা হবে। তবে এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আগামীকাল মঙ্গলবার জানা যাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির রায় ইতিপূর্বেই ঘোষণার কথা থাকলেও কতিপয় কারণে তা পিছিয়ে যায়। আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হবে। তবে রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আজ পাওয়া যাবে না। আগামীকাল মঙ্গলবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আজ সোমবার হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্থায়ী সালিশী আদালত বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির এ রায় ঘোষণা করবে। আদালতের বিধি অনুযায়ী রায়ের বিবরণ প্রকাশ করা হবে পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল মঙ্গলবার।
বাংলাদেশের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবিরা মনে করেন, রায়ে বাংলাদেশের যুক্তি উপস্থাপন এবং দাবি যেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাতে এ ব্যাপারে তারা খুবই আশাবাদী। এই রায়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হলে উভয় দেশই দেশের স্বার্থে সমুদ্রসম্পদ স্বাধীনভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। জানা যায়, গতবছর ডিসেম্বরে এই মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সে সময় জানানো হয়, ৬ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে। গত জুন মাসে ওই ৬ মাস অতিক্রম করেছে।
মামলায় যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণে ভারত সম দূরত্বের (ইকুইডিট্যান্স) রেখা টানার যুক্তি দিয়ে আসছিল। ভারত বলছিল সমুদ্র তট থেকে সীমা রেখা হবে ১৬২ ডিগ্রী। অপরদিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় রেখা অবতলীয় হওয়ায় নায্যতার (ইকুইটি) ভিতিত্তে সীমারেখা টানার বাংলাদেশের যুক্তি হলো- সেখানে রেখা হবে ভূমির মূল বিন্দু হতে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রী। বিষয়টি উভয়দেশের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতে গড়ায় মামলা। বাংলাদেশ ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিশী আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে মামলা করে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে মামলায় গড়ায়। সে মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে রায় হয়।