দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মরিচ নিত্যদিনের রান্নার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। রাঁধুনিদের একটি খাবারের স্বাদের ও মানের বিশেষ অনুষঙ্গই হলো মরিচ। মরিচের গুড়ো একটি মশলার নাম। সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে এই বাংলায় খাবারের মান ও স্বাদের ক্ষেত্রে মশলা হিসেবে মরিচ একটি সুপরিচিত নাম।
উদ্ভিদবিজ্ঞানের ভাষা অনুযায়ী মরিচ হলো সোলানেসি গোত্রের একটি উদ্ভিদ। এই গোত্রের আরেকটি প্রজাতি হলো ক্যাপসিকাম। বর্তমানে ফাস্টফুডের জগতে ক্যাপসিকামের নাম বেশ সমাদৃত। বর্তমানে আমাদের দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এই শস্যটির চাষ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে এটি এখনো কৃষকদের কাছে তেমন সমাদৃত হয়নি। ইউরোপের দেশগুলোতে ক্যাপসিকামের বেশ কদর। সেইসব দেশে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে চাষ করা হয় ক্যাপসিকাম। এটি দেখতে অনেকটা টমেটোর মতো আকারের হয়ে থাকে। রঙের ধরনও অনেকটা টমেটোর মতো। শহরের দিকে অনেকেই বাসাবাড়ির ব্যলকনিতে টবে ক্যাপসিকাম লাগিয়ে থাকেন। ক্যাপসিকামকে বলা হয় মিষ্টি মরিচ। দেশে বিদেশে এটি প্রচুর চাহিদা থাকায় আমাদের দেশের কৃষি গবেষকরা বর্তমানে এটি নিয়ে বেশ গবেষণা করছেন। আমাদের দেশের পরিবেশের উপযোগিতায় এটিকে চাষের উপযোগী করতে বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবন করেছে নতুন জাতের একটি ক্যাপসিকাম।
নতুন এই জাতের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ক্যাপসিকাম অ্যাানাম। এই গবেষণার গবেষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্বের পিএইচডি অধ্যয়নরত নুরজাহান। তিনি এর আগে ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ডে এই বিষয়টি নিয়ে দুই বছর গবেষণা করেন। গবেষণায় উদ্ভাবিত নতুন এই জাতের প্রতিটি মরিচের ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম। এর প্রতিটি গাছে ফল আসে প্রায় ১২ থেকে ১৪টি। নতুন এই জাতটি এক শতাংশে এক গ্রাম বীজ বোপনের মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। গবেষকরা বলছেন এতে করে হেক্টর প্রতি এর উৎপাদন আসতে পারে প্রায় ১২ থেকে ১৪ টন। ক্যাপসিকাম শীতকালীন ফসল। তাই অধিক উৎপাদনের জন্য এটি শীতেই চাষ করা ভালো। আমাদের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা এটির চাষ শুরু করলে প্রচুর লাভবান হবেন।