দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বিমাখাতে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। দাবিনিষ্পত্তি এবং উদ্ভাবনী বিতরণ কৌশলে ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২৪ সালে গার্ডিয়ান ৪৩৯ কোটি টাকার বিমাদাবি নিষ্পত্তি করে। সেই ধারাবাহিকতায়, এই বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১২৯ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। কার্যক্রম পরিচালনায় দক্ষতা এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩ কর্মদিবসে ৯৫ শতাংশ দাবি নিষ্পত্তি করছে। বিমাদাবি নিষ্পত্তির সময় আরও কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগও গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে, গার্ডিয়ানের বিমা সুরক্ষা উপভোগ করছেন দেশের ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে ৫ শ’রও বেশি দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী। প্রতিষ্ঠানটি রিটেইল, মাইক্রোইনস্যুরেন্স, ডিজিটাল এবং গ্রুপ হিসেবে সেবা প্রদান করে। গার্ডিয়ান সম্প্রতি ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবাও চালু করেছে। বাজার গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা চালুর পর থেকে গার্ডিয়ান এই চ্যানেলের বিস্তৃতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এই খাতে মোট বিক্রয়ের প্রায় ৭৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে গার্ডিয়ানের মাধ্যমে, যা নতুন এই খাতে প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত সাফল্য এবং নেতৃত্বদায়ক অবস্থানকেই প্রতিফলিত করে।
ব্যাংকাস্যুরেন্স প্রক্রিয়াকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে এসটিপি (স্ট্রেইট-থ্রু প্রসেসিং)। সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকেরা রিয়েল-টাইম, ঝামেলাবিহীন এবং কার্যকরীভাবে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ব্যাংকাস্যুরেন্স, ইনস্যুরটেক এবং মাইক্রো-ইনস্যুরেন্সে উদ্ভাবন নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমাখাতের বিকাশে এবং সেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত করতে নিরলস কাজ করছে গার্ডিয়ান লাইফ। প্রতিষ্ঠানটি দেশের কোটি মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রযুক্তিনির্ভর সুরক্ষা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org