দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড সুপারস্টার সালমান খান এবং দর্শকনন্দিত এই অভিনেতা সারাবিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। উনার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক খবর হচ্ছে, বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের পথেই হাঁটতে হতে পারে এই অভিনেতার। বলিউডের হাল সময়ের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা সফল ছবির এই অভিনেতার ১০ বছরের জন্য জেলে যেতে হতে পারে।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বান্দ্রা উপশহরে সালমানের এসইউভি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে পড়ে এবং সেই সময় তার গাড়ির ধাক্কায় ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিহত এবং চারজন আহত হয়। গত ২৪ জুন হত্যা মামলায় সালমান খানের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের সেশন কোর্ট এবং ১৩ই জুলাই সালমান খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট তালিকাভুক্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের জেল হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সালমানের বক্তব্য হচ্ছে, তার খুনের কোন অভিপ্রায় ছিল না, বরং এটি স্রেফ দূর্ঘটনা|
২০০২ সালে উপরোক্ত ঘটনায় সালমান খানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং ২০০৫ সালে তার বিরুদ্ধে বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেন আদালত, এবং শাস্তির রায় দেওয়া হয় মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড। এই মামলা বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানো সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(১) ধারায় নিষ্পত্তি হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে ২০১১ সালে মুম্বাইয়ের এক আদালত পুনরায় ২০০২ সালের সেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংক্রান্ত মামলাটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় নিষ্পত্তি করতে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন গ্রহণ করে, গত ২৩ জুনের মামলা আবেদন খারিজ হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা শুরু হবে এখন। খানের আইনজীবি আশোর মুনদার্গি বলেন, এই ম্যাজিস্ট্রেটের এই আদেশ ভ্রান্ত ও খারাপ আইন এবং আইনের সাথে সাংঘর্ষিক ঘটনার উদাহরণ হয়ে থাকবে।
শেষ পর্যন্ত সালমান খানের কপালে কি ঘটে, সেটি আদালতের রায়ই বলে দিবে। আরেক সুপারস্টারের সঞ্জয় দত্তের মতই সালমানের পরিণতি হয় কিনা সেদিকেই নজর সালমান খানের ভক্ত এবং অসংখ্য সিনেমা দর্শকরদের। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বলিউডের সুপারস্টার সঞ্জয় দত্ত এখন পুনের ইয়ারাওডা জেলে শাস্তি ভোগ করতেছেন।
তথ্যসূত্রঃ ওয়ান ইন্ডিয়া