দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। মায়ের সাথে সন্তানের এমন এক সম্পর্ক যা কোন কিছুর মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় না। একজন মা ছোট বেলা থেকেই তার সন্তানকে আদর্শ সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আবার মায়ের অবহেলার কারণেই অনেক সন্তান দিনদিন অধঃপতনে চলে যাচ্ছে। আজ আমরা জানবো একজন আদর্শ মায়ের মধ্যে কি গুণাবলি থাকা উচিৎ।
১। সন্তানের প্রতি ভালবাসা প্রকাশঃ
শিশুরা মায়ের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেতে চাই। তাই কোনভাবেই সন্তানকে আপনার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত করবেন না। আপনার সন্তানকে মাঝে মাঝে বুকে জড়িয়ে ধরে একটু আদর করুন, কপালে চুমু দিন। দেখবেন আপনার সন্তান অনেক খুশি থাকবে।
২। কিছু বোঝানোর সময় কাধে হাত রাখুনঃ
অনেক সময় আপনার সন্তান ভুল করতেই পারে। তাই বলে তাকে হেয় করবেন না। তাহলে সে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। তার দুই কাঁধে আপনার হাত রেখে তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং কিভাবে সেই কাজ করলে ভাল হয় তা পরামর্শ দিন। এভাবে বললে শিশুদের আপনার প্রতি এবং তার নিজের প্রতি আস্থা বেড়ে যাবে।
৩। সন্তানের বন্ধু হয়ে যানঃ
সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। তাহলে ছোট বড় সমস্ত সমস্যা আপনার সাথে শেয়ার করবে। ফলে আপনার সন্তান কোন বিপদে পড়বে না। আর এভাবে বন্ধুত্ব ঠিক রাখলে আপনার সন্তান কোথায় যায়, কি করে সমস্ত খোঁজ খবর রাখতে পারবেন। এর ফলে আপনার সন্তানের খারাপ পথে যাওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে।
৪। তার কাজে প্রশংসা করুনঃ
আপনার সন্তান যখন কোন একটি ভাল কাজ করবে, তখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে তার কাজের প্রশংসা করা। এতে তার নিজের প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায়। ফলে আগামীতে আরো ভাল কাজ করতে উৎসাহ পায়।
৫। আত্মসম্মানবোধ বুঝতে শেখানোঃ
আপনার সন্তান নিজের আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে কতটা সতর্ক তা প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর কোন কাজ করলে আত্মসম্মানবোধ কমে যাবে এবং কোন কাজ করলে তা বৃদ্ধি পাবে, সেই বিষয়ে জ্ঞান দান ক্রুন। এতে ছোট কাল থেকেই নিজের আত্মসম্মানবোধ বজায় রাখতে শিখবে।
৬। নিজের কাজ নিজে করতে উৎসাহ দিনঃ
একজন আদর্শ মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব আপনার সন্তানকে নিজের কাজ নিজে করতে শেখানো। এই অভ্যাস ছোট বেলা থেকেই শেখানো আপনার দায়িত্ব। তাই শিশুরা যখনি নিজের কোন কাজ নিজেই করবে, তখনি তার প্রশংসা করুন। এতে শিশুদের নিজের কাজে আগ্রহ বেড়ে যাবে।
৭। শৃংখলাবোধ এবং নীতিমাল শিক্ষা দিনঃ
আপনি যদি একজন আদর্শ মা হতে চান, তবে আপনার সন্তানকে শৃংখলাবোধ এবং সমাজের নানা নীতিমালা শিক্ষা দিন। কারণ একজন আদর্শ মানুষ হতে হলে তাকে অবশ্যই শৃংখলাবোধ এবং সামাজিক নীতিমালা জানতে হবে।
৮। ধর্মীয় শিক্ষাঃ
আপনার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করুন । তাহলে সে একজন নম্র এবং ভদ্র মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। ধর্মীয় শিক্ষা তাকে একজন ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
তাহলে আজ থেকেই একজন আদর্শ মা হিসেবে আপনার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।